শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:০৪ পূর্বাহ্ন
ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচনে কেন্দ্রে যাওয়ার পর যদি ভোট না দিতে না দেয় তাহলে ১৭ অক্টোবর রাত ১২টা থেকে ঢাকা-কক্সবাজার, ঢাকা-সিলেট পর্যন্ত কোনো গাড়ি চলবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
রবিবার রাজধানীর ডেমরার সারুলিয়া এলাকায় ঢাকা-৫ এর উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদের নির্বাচনী মিছিলপূর্ব এক পথসভায় তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। গয়েশ্বর বলেন, ‘অতীতে অনেক অপকর্ম হজম করায় এবার বদহজম হবে। আন্দোলন ছাড়া কোনো পথ নাই। ভদ্র ভাষায় কথা বললে তারা বুঝে না। গণতন্ত্রের ভাষা তারা বুঝে না। মানবতাবোধ বলতে তাদের কিছু নেই। তারা আছে পুলিশের ওপর ভর করে টিকে আছে।’ এর আগে বেলা ১১টায় পথসভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ১০টা থেকে ঢাকা-৫ এর নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে পথসভাস্থলে আসতে থাকেন দলীয় নেতাকর্মীরা। পরে পথসভা শেষে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে অর্ধশত মোটরসাইকেলসহ নির্বাচনী রালিতে অংশ নেন বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী। এসময় র্যালির সামনে পেছনে পুলিশের কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল নিয়ে তারা র্যালির নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।
র্যালিটি সারুলিয়া রানীমহল সিনেমা হল থেকে শুরু হয়ে ডাগাইর, পশ্চিম ডগাইর, কোনাপাড়া, মাতুয়াল কবরস্থানসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে শনিরআখড়া মৃধাবাড়ি এলাকায় এসে শেষ হয়। এ সময় র্যালিতে থাকা নেতাকর্মীদের স্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে।
সরকার নানা রোগে রোগাক্রান্ত তবে তাদের হজম শক্তি বেশি- এমন দাবি করে গয়েশ্বর বলেন, ‘পিলখানার ৫৬ জন চৌকস সামরিক কর্মকর্তা জীবন দিলো এটাও সরকার হজম করে ফেলেছে। শেয়ার মার্কেট থেকে ৮৬ হাজার কোটি টাকাও হজম করে ফেলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ এর ৬০০ কোটি টাকা সেটাও হজম। খুন, গুম, নারীধর্ষণ এরকম হাজার বিষয় হজম। হজম শক্তিটা এমন হয়েছে যে, আমি সরকারকে বলবো ১৭ তারিখের নির্বাচনে তালবাহানা করলে কিন্তু বদহজমের শুরু হবে। তখন কিন্তু হাসপাতালে নিতে হবে সরকারকে।’
বিএনপি প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘১৭ তারিখ ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত থেকে আপনাদের ভোট আপনারা দেবেন। এই সরকার আপনাদের ভোট হরণ করেছিল। আর সেটা করার পেছনে কারণ একটাই তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তাই আপনাদের হরণকৃত ভোট আমরা আবার প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আগামী ১৭ তারিখ নির্বাচনে আমাদের সাংবিধানিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার।
বিএনপির প্রার্থী বলেন, ‘আমরা যখনই কোনো কিছু করি নির্বাচন কমিশন তখনই আমাদের বাধা দেয় অথচ আমার প্রতিপক্ষকে কোনো বাধা দেয় না। আমি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করবো একটা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করেন। আপনাদেরতো কোনো ক্ষতি হবে না। দয়া করে ১৭ তারিখ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করুন।’নির্বাচনে কোনো কারচুপি করার চেষ্টা করা হলে এখান থেকেই এই সরকার পতনের আন্দোলন ডাকা হবে বলেও ঘোষণা দেন সালাহউদ্দিন।
এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, তৈমুর আলম খন্দকার, কাজী আবুল বাশার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
Leave a Reply