বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৫৪ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন, ‘অল্প সময়ে সিদ্ধান্ত: বললেন আইনমন্ত্রী কঠিন সময় পাড়ি দেওয়ার ক্ষমতা আ.লীগের আছে: ওবায়দুল কাদের মার্কিন ভিসানীতি-নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না আ.লীগ: ওবায়দুল কাদের ভিসার বিধিনিষেধ আরোপের ঘটনা বাংলাদেশের জন্য ‘অপমানজনক ও লজ্জাজনক: ফখরুল আমার ছেলে ওখানে আছে: সম্পদ বাজেয়াপ্ত করলে করবে, তাতে কিছু আসে যায় না: প্রধানমন্ত্রী পল্টনে ব্যাংকে ঢুকে ২০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ২ পুলিশ কনস্টেবলসহ গ্রেপ্তার ৫ খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে আগের দুটি শর্তেই মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হলো পদে পদে হারুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ: মঙ্গলবার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি দিতে পারে বিএনপি জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগদিতে লন্ডনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
অবশেষে সৌদিআরবে কফিল প্রথা বাতিল

অবশেষে সৌদিআরবে কফিল প্রথা বাতিল

বিতর্কিত কফিল প্রথা অবশেষে বাতিল ঘোষণা করেছে সৌদি আরব। দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে গত বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী বছরের ১৪ মার্চ থেকে ছোট মোয়াচ্ছাছা (কোম্পানি) শ্রমিকদের মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে নেওয়া হবে। তবে ওই আইন এখনও কেবল বেসরকারি কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।

সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, গৃহস্থালি কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকদের (গৃহকর্মী, গাড়িচালক) জন্য আলাদাভাবে চিন্তা করছে মন্ত্রণালয়। পরবর্তীতে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। গতকাল বুধবার দেশটির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ক একটি সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সুলাইমান বিন আবদুল আজিজ।

চুক্তি অনুযায়ী কার্যত বাতিল হচ্ছে কফিল প্রথা। ফলে এখন থেকে সৌদি আরবে কাজ করতে প্রবাসীদের আর কোনো কফিলের দ্বারস্থ হতে হবে না। নিজের মতো করেই কাজকর্ম করতে পারবেন তারা। ধারণা করা হচ্ছে, যেহেতু ছোট মোয়াচ্ছাছার শ্রমিকরা এখন থেকে সরাসরি মন্ত্রণালয়ের অধীনে থেকে কাজ করবে তাই তাদের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধাও বৃদ্ধি পাবে।

কফিল প্রথা হচ্ছে সৌদির কোনো নাগরিকের অধীনে থেকে তার নামে কাজ কিংবা ব্যবসা করা। এর বিনিময়ে ওই সৌদি নাগরিক মাসে মাসে একটা লভ্যাংশ নেন সেই প্রবাসীর কাছ থেকে। এ কারণে অনেক কপিল ও নিয়োগকর্তাই আইনের মারপ্যাঁচে প্রবাসীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন। এমনকি নানা নির্যাতনেরও শিকার হন। এসব অত্যাচার-নির্যাতনের কোনো সুবিচারও মেলে না। সবকিছু নীরবেই সহ্য করতে হয়। সবচেয়ে কঠিন অবস্থায় পড়েন গৃহস্থালি কাজে নিযুক্ত অভিবাসীরা। বর্তমানে কফিল পদ্ধতির অধীনে দেশটিতে লাখো বাংলাদেশিসহ এক কোটিরও বেশি বিদেশি শ্রমিক বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত আছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design By Rana