বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২১ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক::
প্রথম ইউরোপীয় দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পরোয়ানা জারি করলে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে গ্রেপ্তার করার ঘোষণা দিয়েছে নরওয়ে। খবর আনাদোলুর।
মঙ্গলবার নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ এইডে বলেছেন, হেগ ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলে এবং তারা নরওয়েতে আসলে তাদের গ্রেপ্তার করতে বাধ্য থাকবে তার দেশ।
নরওয়ের একটি অনলাইন সংবাদপত্র বলেছে, নেতানিয়াহু নরওয়ে সফরে আসলে তাকে (গ্রেপ্তার করে) প্রত্যর্পণ বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে সমর্পনের ঝুঁকি রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ এইডে।
আইসিসির বিচারকদের প্যানেল কারও বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা উচিত কিনা তা বিবেচনা করবে বলে উল্লেখ করে বার্থ এইডে বলেন, কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে নরওয়ের বাধ্যবাধকতা অনুসারে তাকে আদালতের কাছে হস্তান্তরের আশা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি, আইসিসির অর্ন্তভুক্ত সমস্ত রাষ্ট্র একই কাজ করবে।’
এর আগে আইসিসি প্রসিকিউটর করিম খান ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ, ইয়াহিয়া সিনওয়ারসহ ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটির তিন নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেছিলেন।
এক বিবৃতিতে করিম খানের দপ্তর বলেছে, নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্ট ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে, বিশেষ করে গাজা উপত্যকায় গত ৮ অক্টোবর থেকে সংঘটিত ‘যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ এর জন্য দায় বহন করেন। একই সঙ্গে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার জন্য হামাসের তিন নেতা- ইসমাইল হানিয়াহ, ইয়াহিয়া সিনওয়ার এবং মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জন্য আবেদন করা হয়েছে।
এখন হামাস ও ইসরায়েলি নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয় বিবেচনা করবেন আইসিসির বিচারপতিদের একটি প্যানেল। মূলত করিম খানের অফিসের উপস্থাপিত প্রমাণগুলো মূল্যায়ন করবেন তারা। পরোয়ানা জারি হলে আদালতের রোম সংবিধিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো সুযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আটক করতে বাধ্য থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আক্রমণের পর থেকে ইসরায়েল গাজায় ৩৫ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। একই সঙ্গে ইসরায়েলি বিমান ও স্থল হামলা ফিলিস্তিনি ছিটমহলকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
Leave a Reply