মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৩ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
টেকনাফে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা কমিটি সংবর্ধিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হ্নীলা পল্লী বিদ্যুতের অভিযোগ কেন্দ্র: অনিয়ম-দুর্নীতি উৎকোচ গ্রহণের আখড়া টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে চাকমা সম্প্রদায়ের জমি জবর দখল: সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা কারামুক্ত হয়ে মা বাবা’র কাছে ফিরলেন মজলুম ছাত্রনেতা শাহনেওয়াজ টেকনাফ থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে ১৩৮০ পিস ইয়াবা সহ গ্রেফতার-১ হোয়াইক্যং এর মিনাবাজারে টমটম গ্যারেজে আগুন: চনের গুদাম ও নোহাগাড়ী পুড়ে ছাই ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে প্রথম ধাপে ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার বিনা খরচে মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশিদের পড়ার সুবর্ণ সুযোগ টেকনাফের খারাংখালীতে ভাসুরের হাতে গৃহবধূ খুন
আড়াইহাজারে ইউপি চেয়ারম্যানের অ্যাকাউন্টে ১৪ হাজার৩৭৬ কোটি টাকার লেনদেন

আড়াইহাজারে ইউপি চেয়ারম্যানের অ্যাকাউন্টে ১৪ হাজার৩৭৬ কোটি টাকার লেনদেন

ডেস্ক রিপোর্ট টেকনাফ নিউজ২৪:

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার আড়াইহা উপজেলার ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লাক মিয়ার অর্ধশত ব্যাংক হিসাবে ১৪ হাজার ৩৭৬ কোটি ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৫০১ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া আরও ৫৫ কোটি ২৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৫১ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য দুদকের অনুসন্ধানে তথ্য পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) একটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, চেয়ারম্যান লাক মিয়ার বিরুদ্ধে ভিজিডি, ভিজিএফ, এলজিএসপি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, জোরপূর্বক ভূমি দখল ও মাদক ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

অপরদিকে, চেয়ারম্যান লাক মিয়ার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের নামের ১৪টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৪৬১ কোটি ১৬ লাখ ৮৬ হাজার ১৪৬ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুদক। এছাড়া মাহমুদা বেগমের নামে ১৪ কোটি ৫০ লাখ ২৩ হাজার ১৯৭ টাকার সম্পদের কোনও বৈধ উৎস খুঁজে পায়নি দুদক।

দুদকের এই শীর্ষ কর্মকর্তা আরও জানান, চেয়ারম্যান লাক মিয়ার নামের ২৬৫ দশমিক ৬১ বিঘা জমি আদালতের মাধ্যমে ক্রোক করা হয়েছে—যার দালিলিক মূল্য ৭৫ কোটি ৫২ লাখ ৬০ হাজার ৮০০ টাকা। তার দুটি গাড়িও জব্দ করা হয়েছে। যেগুলোর মূল্য দুই কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এছাড়া ব্যাংক হিসাবে থাকা ১৩ লাখ ১৪ হাজার ৩২২ টাকা অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করা হয়েছে।

১৯৯০-৯১ করবর্ষ থেকে ২০২৩-২০২৪ করবর্ষ পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী দুদকের অনুসন্ধানে চেয়ারম্যান লাক মিয়ার এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। আর ২০০৭-২০০৮ করবর্ষ থেকে ২০২৩-২০২৪ করবর্ষ পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী তার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design By Bangla Webs