মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৯:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার দাবীতে কক্সবাজার শহরে ইসলামী আন্দোলনের স্বাগত মিছিল কক্সবাজারে হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক ৩৬০০পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার-১ ইসলামী আন্দোলনের টেকনাফ উপজেলার উত্তর শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত টেকনাফে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ৪র্থ ধাপে ভুমি ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তরের বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং হোয়াইক্যং পুলিশের অভিযানে মাদক মামলার ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী আটক কান্জরপাড়ায় জমির বিরোধ নিয়ে থানায় অভিযোগ দেয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত-১ হোয়াইক্যং কাটাখালীতে আলোর ছোঁয়া ফ্রেন্ডশিপ ক্লাবের উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি সম্পন্ন প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল স্থগিতঃ ১ মার্চ পুনরায় প্রকাশ করা হবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার ‘মাদকপ্রবণ অঞ্চল’ ঘোষণা করা হলে কী হতে পারে? পালংখালী ফারিয়ার পিকনিকে চট্টগ্রাম বিভাগ ফারিয়া সভাপতি আবু সুফিয়ান সংবর্ধিত

আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০২২, ১২.২১ এএম
  • ২৫০ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট :

কিছু মানুষ নানা অজুহাতে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি করেছে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিশ্ব পরিস্থিতি খারাপ হলেও বাংলাদেশের পণ্যের দাম তেমনভাবে বাড়ার কথা নয়। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দেশের কিছু ‘অতিমুনাফা লোভী’ মানুষ জিনিসপত্রের দাম বাড়ায়।

রাবিরার গণভবনে আট বিভাগের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে আলোচনা সভায় বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

কৃষির উপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একবিন্দু জমি যেন খালি না থাকে। যার যেখানে যতটুকু জমি আছে সবাই একটু চাষ করেন। সেখানে খাবার উৎপাদন করেন। হাঁস, মুরগি, কবুতর, কোয়েল, গরু, ছাগল, ভেড়া যে যা পারেন পালেন। আর পুকুর ও যত জলাভূমি আছে সেখানে মাছের চাষ করুন।

‘আমাদের খাবারটা যেন আমরা দেশের মধ্যে করতে পারি। আমাদের যেন বাইরের দিকে না তাকিয়ে থাকতে হয়। সেই ব্যবস্থাটাই এখন আমাদের নিতে হবে।’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।

বিরোধী দলের আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের বিরোধী দল একটা সুযোগ পাচ্ছে, তারা আন্দোলন করবে, করুক। আমি আজকেও নির্দেশ দিয়েছি, খবরদার যারা আন্দোলন করছে তাদের কাউকে যেন গ্রেপ্তার করা না হয় বা ডিস্টার্ব করা না হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা প্রধানমন্ত্রীর অফিসও ঘেরাও দেবে, আমি বলেছি, হ্যাঁ, আসতে দেব। কেননা আমরা যে আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করছি দেশের কাজ করতে, দেশের মানুষ তো সেটা জানে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশে বিরোধীদের আন্দোলন হতে পারে। কিন্তু আন্দোলনের নামে বাড়াবাড়ি দেশের ক্ষতির পাশাপাশি মানুষের কষ্ট বাড়াবে, এটি তাদেরও বোঝা উচিত।

পরিস্থিতি সামাল দেয়ার সামর্থ্য আওয়ামী লীগ সরকারের রয়েছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘অপজিশনসহ নানা জনে নানা কথা বলবে, এর সুযোগ নেয়ারও চেষ্টা করবে, কিন্তু তারা যদি এসব বেশি করতে যায় তাহলে এর প্রভাবে তো মানুষের কষ্ট আরো বাড়বে। এটাও তাদের বোঝা উচিত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা আন্দোলন (বিএনপি) করে করুক। কতটুকু সফল হবে জানি না; কিন্তু তারা যেভাবে করতে চাচ্ছে তাতে দেশের জন্য আরো ক্ষতি হবে। কিন্তু সেটা আমরা সামাল দিতে পারব, সেই বিশ্বাস আমার আছে।’

মানুষের কষ্ট যে হচ্ছে সেটা সরকার উপলব্ধি করতে পারছে বলে প্রতিনিয়ত সেই কষ্ট লাঘবের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে দেশেও সমন্বয় করা হবে। দেশের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন শুরু হলে বিদ্যুতের এই সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে যাবে।

সমসাময়িক সংকট কাটাতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হবার পাশাপাশি উৎপাদন কমিয়ে আনায় তার সরকারের পদক্ষেপের উল্লেখ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘হয়তো আর কিছুদিন আমাদের কষ্ট করতে হবে। করোনাভাইরাস যেতে না যেতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে স্যাংশন এবং পাল্টা স্যাংশন জনজীবনে সর্বনাশ ডেকে আনছে, যার ভুক্তভোগী হচ্ছে সারা বিশ্বের সাধারণ জনগণ।’

পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দেশের কিছু ‘অতিমুনাফা লোভী’ মানুষ জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আমাদের কিছু লোক তো থাকে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে খামোখা জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেয়। এই ছুঁতা ধরে। সেটাও হচ্ছে কিছু কিছু। এত দাম তো বাড়ার কথা না, কিন্তু দাম বাড়াচ্ছে।’

তার সরকার জনগণের কাছে দেয়া সব প্রতিশ্রুতির সফল বাস্তবায়ন ঘটিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যদি এই করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং স্যাংশন ও পাল্টা স্যাংশন না হতো তাহলে আমাদের দেশ কখনই সমস্যায় পড়ত না। আমরা এগিয়ে যেতে পারতাম। কেননা যে ক্ষেত্রগুলো আমাদের আমদানি নির্ভর সেখানেই সমস্যাটা দেখা দিচ্ছে।’

সভায় বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট আমার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আমার শুধু একটাই প্রশ্ন আমার বাবা, মা, ভাইয়েরা কী অপরাধটা করেছিল? কেন এভাবে হত্যা করা হলো?

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধু নানা পরিকল্পনার গ্রহণ করেছিলেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর মধ্যে তাকে হত্যার পর যারা সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে সরকারে এসেছিল, তারা জাতির পিতার খুনিদের রক্ষায় উদ্যোগ নিয়েছিল, পুরস্কৃত করেছিল এবং দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু করেছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

banglawebs999991
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Bangla Webs