বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের
আরো ৬৪জন সদস্য পালিয়ে এলো বাংলাদেশে
মুহাম্মদ তাহের নঈম::
আরাকান আর্মি ও অন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সাথে মিয়ানমারের বাহিনীর লড়াই তীব্র হয়ে ওঠার পর সেদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর অনেকেই পালিয়ে বাংলাদেশে ধেয়ে আসছে। গত তিনদিন বাংলাদেশে তিন শতাধিক সীমান্ত রক্ষী পালিয়ে এসেছে বলে জানা গেছে।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সংঘাত চলমান রয়েছে । প্রতিদিনই সেখানে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে । এরই প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশ সীমান্তের অভ্যন্তরে। এমন পরিস্থিতিতে কোণঠাসা হয়ে একেরপর এক বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে মিয়ানমার জান্তা সরকারের সৈন্যরা।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি ) দুপুর ১২টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত দিয়ে ফের ৬৪ জন বিজিপি সদস্য প্রবেশ করেছে। তারা বাংলাদেশ বর্ডারগার্ড (২ বিজিবি) হেফাজতে রয়েছে।
তারা সকলেই বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু ও উখিয়া-টেকনাফের সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, মিয়ানমারের ২৬৪ জন বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনাসদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা ধৈর্য ধারণ করে মানবিক দিক থেকে আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছি।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
বিজিবির মহাপরিচালক সাংবাদিকদের সাথে আলাপের পরে ফের টেকনাফের সীমান্ত দিয়ে ৬৪ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। সব মিলিয়ে এপর্যন্ত ৩২৮ জন মিয়ানমারের সৈন্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে জানা গেছে ।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলির উক্ত ঘটনায় সীমান্তের মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে কোস্টগার্ড মহাপরিচালক টেকনাফে এসেছেন । তবে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মিডিয়ার সাথে কোনো আলাপ করেননি।
জানতে চাইলে কোস্টগার্ড মিডিয়াসেলে দায়িত্বরত শাকিল বলেন,আজকে মহাপরিচালক ওইভাবে তেমন কোনো কার্যক্রম করেননি। কয়েকদিনের মধ্যে সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিং করবেন।
Leave a Reply