আসন্ন ইউপি নির্বাচনের খরচ মেঠাতে প্রবাসি দম্পতির কোটি টাকা মূল্যের জমি জবর দখলে নেওয়ার অভিযোগঃ
জিয়াউল হক জিয়া টেকনাফ প্রতিনিধিঃ
টেকনাফের খারাংখালীতে যুবলীগ নেতা শেখ শাহ আলমের বিরুদ্ধে এক প্রবাসি
দম্পত্তির ক্রয়কৃত ২ একর ৮৯ শতাংশ প্রায় দেড় কোটি টাকার মূল্যের জমি জবর দখলে নেয়ার
অভিযোগ পাওয়া গেছে। টেকনাফ মডেল থানায় একটি সাধারন ডাইরী করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, মধ্য হ্নীলা মৌজায় ২ একর ৮৯শতাংশ জমি
প্রবাসি ইমাম হোছাইন ও তার স্ত্রী খালেদা বেগম ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে
ভোগদখল করে আসছিলেন। ১৯৮০ সালে ১৪১৮,১৪১৯ নং পৃথক ২দলিল মূলে সরওয়ার
কামাল ও ছিদ্দিক আহমদ থেকে ২একর ৮৯শতাংশ জমি খরিদ করে। যার সৃজিত
খতিয়ান নং-৪৯২৬,৪৯২৭,৫৬৫২(২০১৮)। প্রবাসি ইমাম হোছাইন ও তার স্ত্রী
খালেদা বেগম দীর্ঘকাল যাবত তারা ভোগ দখলে ছিল। এরইমধ্যে জমিটিতে নজর পড়ে
টেকনাফের খারাংখালির নেতা শাহ আলমের। আসন্ন ইউপি নির্বাচনের
সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনের খরচ মেঠাতে সম্প্রতি তিনি কয়েকমাস
যাবত ১০/১২ জন সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে জমিটি দখলে নেয়ার চেষ্টা করেন। এতে জমির
মালিকের বয়োবৃদ্ধ পিতা পুত্র বাধা দিলে তাদের কে দা কিরিচ দিয়ে ধাওয়া
করে। পরে বিষয়টি এলাকার গণমান্য ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা করেও কোন সুরাহা
হয়নি। গত ২৫ জানুয়ারী অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের একটি ঠিম সরেজমিনে গেলে শাহ
আলম গ্রুপ জমি দখলের পরেই উক্ত জমিতে তারা বিভিন্ন স্থাপনা দ্রুত গতিতে
নির্মাণকাজ করতে থাকে।ইতিপূর্বে এ নির্মাণ কাজে বাঁধা দিতে গিয়ে
দখলকারীদের হামলার শিকার হয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার ।
স্থানিয় হ্নীলা ইউপির ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বশির আহমদ জানান, প্রবাসি
ইমাম হোছাইন ও তার স্ত্রী খালেদা বেগম দীর্ঘদিন যাবত সৌদিতে অবস্থান
করছেন । তারা এলাকায় না থাকার সুযোগে স্থানীয় প্রভাবশালী শেখ শাহ আলম
গংরা তাদের জমি জোরপূর্বক দখল করে বর্তমানে দখল বিক্রির বাণিজ্য শুরু
করেছে।
প্রবাসী খালেদার পিতা সোনালী জানান, শাহ আলম ক্ষমতার বলে জোর করে
আমার ভোগদখলীয় জমি দখলে রখেছে। আমি তার প্রতিকার চাই। ভুক্তভোগীর পরিবার
আরো জানায় তার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে টেকনাফ মডেল থানায় একটি সাধারন ডাইরীও
করা হয়েছে। এ ব্যাপারে
অভিযুক্ত শাহ আলম জানায়, এই অভিযোগ মিথ্যা। উক্ত জমি ক্রয় করতে মালিকপক্ষ
তথা খালেদার পিতা সোনালী কে ৪ লাখ টাকা দিয়েছি। জমি রেজিষ্ট্রি দিলে বাকি
টাকা দিয়ে দেব। প্রায় দেড় কোটি টাকার মূল্যের সম্পদ ৪ লাখ টাকা হয় কি
ভাবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শাহ আলম বলেন, হয় আমার টাকা দিতে
হবে,না হয় জমি দিয়ে দিতে হবে। বর্তমানে তারা জবর দখলকারী শাহ আলমের
বিচার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরছে। বর্তমানে তারা মামলার পক্রিয়ায় রয়েছে
বলে জানান।#