শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন
সাইফুদ্দীন আল মোবারক:
কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফে কিছু জনপ্রতিনিধি ইয়াবাসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। তারা আবারো আগামী নির্বাচনে জনপ্রতিনিধি হতে মরিয়া হয়ে ওঠছে।বিগত সময়ে তারা মরণ নেশা ইয়াবা ও বিভিন্ন ধরণের অসামাজিক কর্মকান্ডের সাথে সখ্যতা রেখে জনপ্রতিনিধিত্ব করায় সাধারণ জনগন তাদেরকে কাছে পাইনি।সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে অনেক অসহায় হাজারো সাধারণ মানুষ।এই জনপ্রতিনিরা বহু অপরাধের সাথে জড়িত থাকার কারণে,প্রশাসনের অভিযান জোরদার থাকায় অনেক সময় তাদেরকে আত্মগোপনে থাকতে হয়েছে। আবার অনেক জনপ্রতিনিধিরা ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত থাকার কারণে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আত্মসমর্পণও করেছে।মরণ নেশা ইয়াবাসহ হাতে নাতে প্রশাসনের হাতে গ্রেফতার হয়ে কারাভোগ করেছে এমন প্রতিনিধি বর্তমানে টেকনাফের বিভিন্ন ইউনিয়নে রয়েছে ।তারা জামিনে বের হয়ে জনপ্রতিনিধিত্ব করলেও,অবৈধ কর্মকান্ডের সাথে পূর্বের ন্যায় জড়িত আছে বলেও জানা যায় বিভিন্ন সূত্রে।যারা স্বরাষ্টমন্ত্রনালয়ের তালিকাভূক্ত তাদের দৌড়ত্বও কম নয় বলেও জানা গেছে।এমন জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় একাধিক বার নিউজও হয়েছে।তারপরে তারা সচেতন এবং সংশোধন হয়ে ফিরে আসেনি বলে জানা যায়।এধরণের অপরাধীরাই যদি সমাজের নেতৃত্ব ধরে রাখে, তখন সৎ ও ন্যায়পরায়ণ মানুষগুলো সমাজের নেতৃত্ব এবং সমাজ সেবা থেকে দূরে থাকে।বর্তমান সময়ে সাধারণ মানুষ তাদের কাছে কোনোধরণের সেবা পাইনি,ভবিষ্যতেও পাওয়ার আশা নেই।আগামী নির্বাচনেও সেসব জনপ্রতিনিধি সহ একি অপরাধের সাথে জড়িত আরো কিছু নতুন মূখ নির্বাচন নিয়ে দৌড়ত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে।
যা প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে ওঠে আসে। মাদক ও সন্ত্রাসীয় বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজের সাথে জড়িত লোকগুলো যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে,তখন সত্যিকারের সৎ,ন্যায় পরায়ণ সমাজ সেবক মানুষগুলো নেতৃত্ব থেকে দূরে থাকবে ।যার ফলে সাধারণ মানুষ আবারো সরকারী সেবাসহ বিভিন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত হবে এমনটি ধারণা করছেন উখিয়া-টেকনাফের শিক্ষিত সমাজ ও ইতোপূর্বে সেবা থেকে বঞ্চিত হাজারো সাধারণ জনগন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেকনাফের একজন সিনিয়র আইনজীবী প্রতিবেদক জানান,সমাজে যারা নেতৃত্ব দিয়ে সাধারণ মানুষের সেবা করতে চাই,তাদেরকে অবশ্যই সৎ এবং ভালো মনের মানুষ হতে হবে,যদি অপরাধীরাই সমাজের নেতৃত্বের চেয়ারে বসে, তাহলে সমাজ ধ্বংসের পথে চলে যাবে ও সেবা প্রত্যাশী জনগণ সেবা থেকে বঞ্চিত হবে।অপরাধীরদের চিহ্নিত করে বাদ দিয়ে, সৎ ও ন্যায় পরায়ণ মানুষগুলোকে মনোনয়ন দেয়া দরকার।সমাজ থেকে সন্ত্রাস,দূর্নীতি,খুন, ধর্ষণ, ইয়াবাসহ বিভিন্ন অপরাধ কারীদের দমন করে সমাজের চিত্র উজ্জ্বল করে গড়ে তুলতে সৎ, ন্যায়পরায়ণ ও জনদরদি মানুষগুলো বর্তমান সময়ে নেতৃত্বের আসনে বসানো জরুরী হয়ে পড়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
Leave a Reply