ইউক্রেন বুধবার মাসব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি যুদ্ধ করার বয়স আছে এমন সব পুরুষদের জন্য সামরিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একইসঙ্গে রাশিয়ায় থাকা দেশটির নাগরিকদের সেখান থেকে সরে যেতে বলা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
ইউক্রেন থেকে বুধবার নিজ দূতাবাসের কর্মীদের সরিয়ে নিতে শুরু করে রাশিয়া। দূতাবাস ভবন থেকে সেখানকার কর্তৃপক্ষই রুশ পতাকা নামিয়ে নেয়। এ ঘটনাকে দেশটিতে রাশিয়ার সর্বাত্মক সামরিক অভিযানের ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। এদিন যুক্তরাষ্ট্রও আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেনে ‘পূর্ণ মাত্রায়’ রুশ হামলার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া, রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী বা রুশ প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে সে ব্যাপারে তিনি আগাম ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারছেন না।
ইউক্রেনের পার্লামেন্ট, মন্ত্রিপরিষদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট ডাউন অবস্থায় পাওয়া গেছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দেশটির সরকারি ওয়েবসাইটগুলোতে সাইবার হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করে আসছে কিয়েভ। গোয়েন্দা প্রতিবেদনেও রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন শুরুর আগে সাইবার হামলার কথা বলা হয়েছে।