মিত্র রাশিয়ার সমর্থনে যুদ্ধ করতে ইউক্রেনে যেতে প্রস্তুত সিরীয় যোদ্ধারা। সিরিয়ার আধাসামরিক বাহিনীর কিছু সদস্য নিজেদের এমন অবস্থানের কথা জানিয়েছে। তবে তাদের দুই জন কমান্ডার রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তারা এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও নির্দেশনা পায়নি।
সিরিয়ার আধাসামরিক ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্সেস (এনডিএফ)-এর একজন কমান্ডার নাবিল আবদুল্লাহ। রয়টার্সকে তিনি বলেন, সিরীয় যুদ্ধের সময় অর্জিত অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে রাশিয়াকে সাহায্য করতে তারা প্রস্তুত।
গত ১৪ মার্চ কমান্ডার নাবিল আবদুল্লাহ বলেন, সিরীয় ও রুশ নেতৃত্বের কাছ থেকে একবার নির্দেশনা পেলেই আমরা এই যুদ্ধে অংশ নেবো।
নাবিল আবদুল্লাহ এমন সময়ে এই মন্তব্য করলেন যার মাত্র চার দিন আগেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ১৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েনের ইঙ্গিত দেন।
এনডিএফের এই কমান্ডার বলেন, ‘আমরা এই যুদ্ধকে ভয় করি না। সেখানে গিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণের নির্দেশ এলে তার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। আমরা তাদের যা দেখাবো সেটি তারা ইতোপূর্বে কখনও দেখেনি। আমরা রাস্তায় যুদ্ধ করবো এবং সিরিয়ায় সন্ত্রাসীদের পরাজিত করার জন্য যুদ্ধের সময় অর্জিত কৌশল প্রয়োগ করবো।’
রাশিয়া এনডিএফ যোদ্ধাদের ইউক্রেনে মোতায়েনের জন্য নির্দেশনা জারি করতে চায় কিনা? কিংবা ইতোমধ্যে কোনও এনডিএফ যোদ্ধাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কিনা? বিষয়টি নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রেমলিনের মন্তব্য চেয়েছিল ক্রেমলিন। তাদের তরফে এ নিয়ে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে শেষ পর্যন্ত কারও তরফেই উত্তর মেলেনি।
বিষয়টি নিয়ে সিরিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয় ও সেনাবাহিনীর কাছেও প্রশ্ন পাঠিয়েছে রয়টার্স। তবে তাদের তরফেও কোনও উত্তর মেলেনি।
মধ্যপ্রাচ্যে রাশিয়ার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র দামেস্ক। সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দৃশ্যত পুতিনই দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতায় ধরে রেখেছেন।
Leave a Reply