বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২১ অপরাহ্ন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আগের প্রশাসনের সমর্থক এক কর্মকর্তা ও এক কর্মচারী মারধরের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার দুপুরে উপাচার্য দপ্তরের শাখা কর্মকর্তা খাবিরুল ইসলাম ও ফরেন সেলের দিন হাজিরা কর্মচারী মঞ্জুরুল ইসলাম কয়েকজন বহিরাগতের মারধরের শিকার হয়েছেন। এসময় ঘটনা স্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বিরোধী কিছু কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিতি ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী খাবিরুল ইসলাম বলেন, ‘রেজিস্ট্রার স্যার আমাকে ফোন করে অফিসে ডাকেন। আমি ডরমেটরির সামনে আসলে ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী বসন্তপুর গ্রামের আবু সাইদ ও অপরিচিত একজন এসে আচমকা আমাকে কিল ঘুষি মারতে থাকে। তারা আমার ভগ্নীপতি উপ-রেজিস্ট্রার সাইফুল ইসলামের কাছে টাকা পায় বলে দাবি করে। তখন সেখানে সহকারী রেজিস্ট্রার সেলিম, শাখা কর্মকর্তা উকিল উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আজিজুল হকসহ বিভিন্ন অফিসের কয়েকজন উপস্থিত ছিলো। এটি একটি পূর্ব পরিকল্পিত ঘটনা বলে আমার মনে হচ্ছে।’
এদিকে বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে বিজ্ঞান অনুষদের সামনে মারধরের শিকার হয়েছে ফরেন সেলের দিন হাজিরা কর্মরত মঞ্জুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘রসায়ন বিভাগে আমি একটা কাজে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দুজন বহিরাগত এসে আমাকে চড় থাপ্পড় মারতে থাকে। এসময় তারা চাকু দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে। আর আমাকে ক্যাম্পাসে আসতে নিষেধ করে।’
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দুইজন নিরাপত্তা চেয়ে রেজিস্ট্রার ও প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এছাড়াও বেলা দুইটার দিকে অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাশিদুজ্জামানকে শাখা কর্মকর্তা উকিল উদ্দিন গালিগালাজ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনিও প্রক্টরের নিকট মৌখিক অভিযোগ করেছেন।
এবিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ বলেন, ‘আমাকে দুইজন লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমি এবিষয়ে উপ-উপাচার্য এবং প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলেছি। উপাচার্যকেও জানিয়েছি, যিনি আজকে যোগদান করলেন। উপাচার্য স্যার ঢাকায় আছেন। ক্যাম্পাসে আসলে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply