শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন
তাবলিগ জামাত ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির দাওয়াত দেয় বলে মন্তব্য করেছেন ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম ও বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।
তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম নিয়ে সাম্প্রতিক আলোচনা-সমালোচনা প্রসঙ্গে শনিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।
আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, উম্মতের দরদ নিয়ে ইসলামী জীবনাদর্শের দাওয়াত দিয়ে বিশ্বময় চিরস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে তারা। মানুষের সামনে সত্য ও মিথ্যার, ন্যায় ও অন্যায়ের, হেদায়েত ও গোমরাহীর বিষয়টি সুস্পষ্টরূপে তুলে ধরে দ্বীন ইসলামের বিশ্বাসের ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করছে তাবলিগ
তাবলিগ জামাত ইহকালীন শান্তি ও ন মুক্তির দাওয়াত দেয় বলে মন্তব্য করেছেন ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম ও বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।
তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম নিয়ে সাম্প্রতিক আলোচনা-সমালোচনা প্রসঙ্গে শনিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।
আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, উম্মতের দরদ নিয়ে ইসলামী জীবনাদর্শের দাওয়াত দিয়ে বিশ্বময় চিরস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে তারা। মানুষের সামনে সত্য ও মিথ্যার, ন্যায় ও অন্যায়ের, হেদায়েত ও গোমরাহীর বিষয়টি সুস্পষ্টরূপে তুলে ধরে দ্বীন ইসলামের বিশ্বাসের ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করছে তাবলিগ জামাত।
তাবলিগের দাওয়াত পেয়ে অনেক বড় গুনাহগার ধার্মিক হয়েছে জানিয়ে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্বব্যাপি দাওয়াতী কাজ করছে তাবলিগ জামাত। তাদের দাওয়াত, ভালোবাসা, ক্ষমা, মানবতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ দেখে অনেক বড় বড় গুনাহগারও ইসলাম ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে। হিংসা, বিদ্বেষ, মারামারি, হানাহানি ভুলে ইসলামের পথে চলতে শুরু করেছে। খাটি মুসলিম হয়েছে।
তিনি বলেন, বহু চোর, ডাকাত, সন্ত্রাসী, বেনামাজি, চাঁদাবাজ, সুদখোর, ঘুষখোর তাবলিগের দাওয়াতের মাধ্যমে দ্বীনদার হয়েছে, মুমিন হয়েছে এবং নিজেদের নৈতিক মূল্যবোধ, ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতা দেখিয়ে, সুসম্পর্ক রক্ষা করে অপরকেও ভালো হতে উৎসাহী করেছে, ইসলামের জন্য কাজ করেছে।
তাবলিগ জামাত থেকে কখনো কোনো জঙ্গী বা সন্ত্রাসী তৈরি হতে দেখা যায়নি উল্লেখ করে শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম বলেন, পৃথিবীতে শান্তির পরিবেশ তৈরি করা তাবলিগ জামাতের পরম আরাধ্য। একারণে তারা আক্রমনাত্মক ও উস্কানিমূলক কথা বলে না, সংঘাতের দাওয়াতও দেয় না। এজন্য তাবলিগ করে কেউ কখনো জঙ্গী বা সন্ত্রাসী হয়েছে এমনটা দেখা যায়নি। বরং অনেকেই দ্বীন ইসলামের বড় বড় দাঈ হয়েছেন, ইসলামের শান্তি ও সৌহার্দ্যের বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন।
আল্লামা মাসঊদ বলেন, বিগত কয়েক বছর থেকে তাবলিগ জামাতের কর্মীদের নিজের মধ্যে দ্বন্দ্ব-বিভেদ দেখা দেওয়ায় কিছু মানুষ এখন তাবলিগ জামাত নিয়ে সমালোচনা করার সুযোগ পেয়েছে। বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূলক কথা ছড়িয়ে সরলমনা মুসলিদের তাবলিগ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছে। তাই আমাদের উচিত, নিজেদের মধ্যকার মারামারি, হানাহানি ভুলে আরো একাগ্রচিত্তে ইসলামের জন্য তাবলিগের কাজ করে যাওয়া।
Leave a Reply