শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৯ পূর্বাহ্ন
বান্দারবানের নাইক্ষ্যংছড়ি,ঘুমধুম,তুমব্রুর পর এবার নতুন করে কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের আঞ্জুমানপাড়া সীমান্তেও গোলাগুলির পাশাপাশি থেমে থেমে ছোড়া হচ্ছে মর্টার শেল। এতে উখিয়া সীমান্তের বসতি এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ঝুঁকির মধ্যে সময় কাটাচ্ছে পালংখালী ইউনিয়নের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডে পূর্ববালুখালী, আঞ্জুমান পাড়া, থাইংখালী গ্রামের ৭০টির বেশি পরিবার।
সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা একাধিক সূত্র ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলেন, ঘুমধুম সীমান্ত (দক্ষিণ দিকে) লাগোয়া কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী সীমান্ত। ৭০০-৮০০ ফুট প্রস্থের নাফ নদী বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত ভাগ করে রেখেছে। তবে নাফ নদীর টেকনাফ অংশের দূরত্ব তিন-চার কিলোমিটার।
আঞ্জুমানপাড়া থেকে ওপারে রাখাইন রাজ্যের ঢেকুবনিয়া ও কোয়াসিমং এলাকা খালি চোখে দেখা যায়। সেখানে একসময় লাখো রোহিঙ্গার বসতি ছিল। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর রোহিঙ্গাদের গ্রাম থেকে উচ্ছেদ করে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়ে সেখানে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ব্যারাক ও সীমান্তরক্ষী বিজিপির সদর দপ্তর গড়ে তোলা হয়।
উখিয়া পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, দুই মাস ধরে ঘুমধুম সীমান্তে গোলাগুলির খবর শোনা গিয়েছিল। আজ মঙ্গলবার সকাল সাতটা থেকে পালংখালী সীমান্তের বিপরীতে মুহুর্মুহু গোলাগুলি শুরু করে মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনী। দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে ছোড়া হচ্ছে মর্টার শেলের গোলা। এতে পালংখালী ইউনিয়নের ২, ৩ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আঞ্জুমান পাড়া, থাইংখালী ও বালুখালী গ্রামের মানুষ আতঙ্কে আছে। গ্রামগুলো নাফ নদীর তীরে, সেখান থেকে মিয়ানমারের দূরত্ব কাছাকাছি। মর্টার শেলের বিকট শব্দে কাঁপছে পালংখালীর বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা। তবে সীমান্তে বিজিবি সতর্কাবস্থায় রয়েছে।
Leave a Reply