রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৭ পূর্বাহ্ন
পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা শহরের লাইট হাউস এলাকায় রশিদ বাহিনীর সন্ত্রাসী হামলায় আহত-৩ নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজারের কলাতলী হোটেল মোটেল জোনের লাইট হাউস এলাকায় বিক্রিত জমি জবর দখলে নিতে রশিদ বাহিনীর সন্ত্রাসী হামলায় ৩জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে জহিরুল ইসলাম গুরুতর বলে জানা গেছে। গত ২৪ ডিসেম্বর শহরের লাইট হাউস পাড়া মুজাম্মেল সওদাগরের কুলিং কর্নারের পাশে সকাল ১০ টায় এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, লাইট হাউস পাড়া উপরের মসজিদের পাশে নুরুল ইসলামের দোনের পিছনের ৯ কড়া জমি ২০১৪ সালে জহিরুল ইসলাম পিতা: মৃর্তু আবুল কাশেম সাবেক খুটাখালীর কচ্চপিয়াস্থ হাজী পাড়ার ৩ নং ওয়ার্ডের এলাকার বাসিন্দা,বর্তমান লাইট হাউস এলাকার জনৈক রশিদ উদ্দিন আহমদ,পিতা: মৃর্তু সুলতান আহমদ কে বিক্রি করে। একই জমি ২০১৬ সালে উচিত মূল্য নিয়ে রশিদ উদ্দিন পূর্বের মালিক জহিরুল ইসলাম কে বিক্রি করে। ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এখনো খরিদা মালিক হিসাবে জহিরুল ইসলাম দখলে রয়েছে। বর্তমানে জমির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় রশিদের কু নজর পড়ে উক্ত জমিতে। ঘটনার দিন ২৪ ডিসেম্বর জহিরুল ইসলাম পূর্বের ভোগ দখলীয় জমি তে কাজ করার সময় রশিদ চাঁদা দাবী করে। এতে অপারগতা প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে রশিদ আহমদ জহিরুল ইসলাম কে অফিসে যাওয়ার প্রাক্কালে গতিরোধ করে লাইট হাউস পাড়া মুজাম্মেল সওদাগরের কুলিং কর্নারের পাশে পৌছামাত্র কিছু বুজে উঠার আগেই পুর্বে উৎপেতে থাকা রশিদ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা এলোপাতাড়ী আক্রমন করে। এতে রশিদ ও তার বাহিনীর হামলায় জহিরুল ইসলাম আহত হয়ে মাঠিতে লুটে পড়লে স্থানিয় পথচারী রা রক্তাক্ত অবস্থায় কক্সবাজার সদর পাসপাতালে জহির কে ভর্তি করে। এখানেই ক্ষান্ত নয় রশিদ। সকালে এ ঘটনা ঘটার পর রশিদ বাহিনী বিকালে আবারো তান্ডব চালায় জহিরের জমিতে। তান্ডব চলাকালে বাধা দেয়ায় রমজান আলী,সালমা ইসলাম সহ কয়েকজন কর্মরত মিস্ত্রি কে ও মারধর ও প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। চলে যাওয়ার সময় রশিদ বাহিনী এখন তুদের ধরে নিয়ে যাবো বলে পুলিশ বাহিনীর ভয় দেখায়। প্রত্যক্ষদর্শিরা জানায়,রশিদ ও তার লাঠিয়াল বাহিনী জোর করে জহিরুল ইসলামের দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় জমি জবর দখল করতে চায়। জবর দখলে ব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাসী ঘটনার জম্ম দিচ্ছে রশিদ বাহিনী। ঘটনার স্বাক্ষী রুবি আক্তার,শাকেরা বেগম এ প্রতিবেদক কে জানায়, বেপরোয়া রশিদ বাহিনী অতর্কিত হামলা করে কয়েকজন মারধর ও কর্মরত মিস্ত্রি কে হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। অভিযুক্ত রশিদের বিরুদ্ধে,হত্যার চেষ্টাও চাঁদাবাজির মামলা পক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় যোগাযোগ করা হলে সদর থানার সাব ইনিস্পেক্টর মাজেদ জানায়,কিছুদিন আগে রশিদ আমার কাছে একটা অভিযোগ দিয়েছিল। আমি সরেজমিনে গিয়েছিলাম। তবে মারামারির বিষয় আমি জানিনা। বর্তমানে রশিদ বাহিনীর অব্যাহত হুমকির মুখে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে আহত জহিরুল ইসলাম এর পরিবার। এ বিষয়ে পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার।
Leave a Reply