বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:০৯ অপরাহ্ন
কক্সবাজারে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) থেকে শর্তসাপেক্ষে হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউজ খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে সীমিত পরিসরে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ রুম বুকিং দিতে পারবেন না। এসময় পর্যটনকেন্দ্রগুলো পুরোপুরি বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
কক্সবাজার জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির এক সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউজগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।
হোটেল খুলে দেওয়ার শর্তের মধ্যে রয়েছে- বেড়ানোর উদ্দেশ্যে কোনও পর্যটক রুম বুকিং নিতে পারবেন না। মাত্র ৫০ শতাংশ কক্ষ বুকিং দেওয়া যাবে। রুম সার্ভিস ব্যতিত বন্ধ থাকবে রেস্টুরেন্ট। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে কক্ষ ভাড়া দেওয়া যাবে না। বন্ধ থাকবে সুইমিংপুল। হোটেলের প্রবেশমুখে জীবাণুনাশক স্প্রে ও তাপমাত্র পরিমাপের ব্যবস্থা রাখতে হবে। লবিসহ সব কক্ষে হ্যান্ড সেনিটাইজারের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া পুরো হোটেলে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। শর্ত ভাঙলে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ড. মামুনুর রশীদ বলেন, পর্যটন সংশ্লিষ্ট মানুষের জীবন-জীবিকা নির্বাহের দাবির প্রেক্ষিতে শর্তসাপেক্ষে হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউজ খুলে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে গঠন করা হয়েছে একটি মনিটরিং কমিটি। এই কমিটি হোটেল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছে। নির্দেশনা বাস্তবায়নে কোনও ব্যত্যয় ঘটলে মনিটরিং কমিটি যেকোনও প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেবে।
তিনি আরও জানান, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় কক্সবাজারের পর্যটন সেক্টর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সব বিচার বিশ্লেষণ করে সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হচ্ছে হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউজ। খোলার পর স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে পুলিশ-প্রশাসনের চেয়ে হোটেল মোটেল কর্তৃপক্ষের চ্যালেঞ্জ বেশি। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
তবে সারাদেশের মতো কক্সবাজারেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের হার বাড়তে থাকলে ১ এপ্রিল থেকে কক্সবাজারের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি পর্যটন এলাকার হোটেল-মোটেল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
Leave a Reply