গ্রেফতার জামাতার নাম হাকিম উল্লাহ (৩৫)। তিনি একই এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয়দের বরাতে কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, শ্বশুরের পরিত্যক্ত খালি জায়গায় অস্থায়ী ঘর তৈরি করে হাকিম স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতেন। কিছুদিন আগে তার স্ত্রী যমজ সন্তানের জন্ম দেন। জন্মের তিন দিন পর এক সন্তান মারা যায়। শুক্রবার সকালে অপর সন্তানেরও মৃত্যু হয়।
শুক্রবার দুপুরে নাতির মৃত্যুর খবর শুনে দেখতে যান নানা আজিজুল হক। এ সময় জায়গা নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুর-জামাতার মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে জামাতা হাকিম উল্লাহ শ্বশুরকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন। বাধা দিতে গেলে স্ত্রী সোনিয়া আক্তারকেও মারধর করেন তিনি। পরে স্থানীয়রা আহত আজিজুল হক ও সোনিয়া আক্তারকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক আজিজুল হককে মৃত ঘোষণা করেন।
দক্ষিণ জানারঘোনা এলাকার সমাজপতি (সর্দার) আব্দুর রহমান বাবু বলেন, হাকিম উল্লাহ শ্বশুরের মালিকানাধীন জায়গায় ঘর তৈরি করে থাকতেন। শ্বশুর জায়গা ছেড়ে দিতে বলায় জামাতার সঙ্গে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এর জেরেই খুনের ঘটনা ঘটেছে।
ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে হাকিম উল্লাহকে গ্রেফতার করে। আজিজুল হকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply