বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৮ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)
আরও দুই হাজার সাংবাদিককে করোনাকালীন সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. হাছান মাহমুদ আজ দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের জরুরি সভা শেষে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
মহামারির মধ্যে কর্মরত সাংবাদিকদের ধন্যবাদ এবং মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিকদের আত্মার শান্তি, অসুস্থদের সুস্থতা এবং পৃথিবীর করোনামুক্তি কামনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন লকডাউন চলছে, সরকারি ছুটিতে মন্ত্রণালয়গুলো বন্ধ, এর মধ্যেই আমরা সরকারের পক্ষ থেকে কিভাবে সাংবাদিকদের সহায়তা করতে পারি, সেজন্যই আজকে এই জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে এবং ট্রাস্টি বোর্ডের সভায় আপাতত দুই হাজার সাংবাদিককে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে এককালীন সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এই অর্থবছরে কল্যাণ ট্রাস্টের নিয়মিত সহায়তার আওতায় আরও প্রায় দুই শতাধিক সাংবাদিককে সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ড. হাছান বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যে সাংবাদিকদের ভূমিকা এবং অস্বচ্ছল, নানা কারণে চাকরিচ্যুত বা চাকরি থাকা সত্ত্বেও বেতন না পাওয়া সাংবাদিকদের সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রথম দফায় সারা দেশে দলমত নির্বিশেষে তিন হাজার ৩৫০ জন সাংবাদিককে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। যেসব সাংবাদিক বন্ধু প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন, তাদের মধ্যে অস্বচ্ছলরাও যেন এই সহায়তা থেকে বাদ না যায়, আমার সেই অনুরোধ সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ রেখেছিলেন। এজন্য তাদের ধন্যবাদ।’
বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী করোনাকালে সাংবাদিকদের যে এককালীন সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এ ধরনের কোনো সহায়তা ভারত-পাকিস্তান-নেপাল-ভুটান-শ্রীলংকা কোথাও দেওয়া হচ্ছে না উল্লেখ করেন ড. হাছান। তিনি জানান, করোনায় কেউ যদি মারা যায় শুধুমাত্র সেই ক্ষেত্রে ভারতে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু করোনাকালে অস্বচ্ছল বা চাকরিচ্যুত হয়েছে এমন কাউকে সেখানে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে না।
করোনাকালে সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতির বিষয় প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘এ সময় এটি অত্যন্ত দুঃখজনক, অনভিপ্রেত ও আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য। আমি জানি, সংবাদমাধ্যমগুলো করোনাকালে অন্যান্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মতোই নানা সমস্যার সম্মুখীন। কিন্তু বিষয়টাকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার অনুরোধ আমি শুরু থেকেই করেছিলাম। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সেটি অনুসরণ করা হয়নি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। সম্প্রতি যেখানে চাকরিচ্যুতি হয়েছে, সেগুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে এবং সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো চেষ্টা করছে। আশা করব, যাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদেরকে পুনর্বহাল করার দিকেই কর্তৃপক্ষ যাবে, এই আমার প্রত্যাশা।’
করোনা আক্রান্তের পর চিকিৎসাধীন তথ্যসচিব ও ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান খাজা মিয়া অনলাইনে সভায় যোগ দেন। এ ছাড়া সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ ফিজনূর রহমান, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম মোস্তফা, ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এস এম মাহফুজুল হক, বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আব্দুল মজিদ, ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন সভায় উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply