বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩৫ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
মালয়েশিয়ায় ৬টি পিস্তল সহ ইসরায়েলি নাগরিক আটক: দেশজুড়ে সতর্কতা জারি বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে সৌদি আরবের ১৪০ কোটি ডলার বিনিয়োগ ভুটানের রাজাকে সঙ্গে নিয়ে কেক কাটলেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ছিনতাইকালে ধরা পড়া দুই পুলিশ সদস্য রিমান্ডে! ২৮ মার্চ জেলা ইসলামী আন্দোলন ইফতার মাহফিল হোটেল অস্টারইকো তে। মিয়ানমারে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বিদ্রোহীরা প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে মোস্তাফিজ ও বাবুল মিয়ানমারের গ্যং স্টারের বাংলাদেশি সহযোগি হোয়াইক্যং এর দালালরা অধরায়! সাড়ে ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা টেকনাফে প্রবেশের অপেক্ষায়! হ্নীলা উম্মে সালমা মহিলা মাদরাসায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
করোনার চেয়ে ভয়ংকর মস্তিষ্ক খেকো অ্যামিবার সন্ধান

করোনার চেয়ে ভয়ংকর মস্তিষ্ক খেকো অ্যামিবার সন্ধান

নতুনরূপী করোনা নিয়ে সারা বিশ্ব এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। তার মধ্যেই আবার নতুন করে আমেরিকায় বিপদ হাজির হয়েছে সেখানে। মস্তিষ্ক খেকো অ্যামিবার প্রকোপ বাড়ছে সেথানে। জারি হয়েছে সতর্কতা। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, দূষিত পানি থেকে ছড়াচ্ছে এই অ্যামিবা।

আমেরিকার দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে এই অ্যামিবার প্রকোপ শুরু হয়েছিল। এখন উত্তরের রাজ্যগুলোতেও এই অ্যামিবার উৎপাতে চিন্তিত প্রশাসন। সম্প্রতি টেক্সাসের শিশুটির মস্তিষ্কে যে অ্যামিবা পাওয়া গেছে তাকে বলে মগজ খেকো অ্যামিবা। বিজ্ঞানের ভাষায় এর নাম নাইগ্লেরিয়া ফোলেরি বা অ্যামিবা।

এই অ্যামিবা এক ধরনের এককোষী প্রাণী। খালি চোখে দেখা যায় না এই প্রাণীকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, অ্যামিবা হলো থার্মোফিলিক, উষ্ণ প্রস্রবণ বা গরম পানিতে এই প্রাণীকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। সাধারণত পরিষ্কার জলেই অ্যামিবার বাস। পানির উষ্ণতা যত বাড়বে অ্যামিবার সংখ্যাও ততই বৃদ্ধি পাবে।

শিল্পাঞ্চলের কাছাকাছি এলাকায়, দূষিত পানিতেও দেখা মেলে এদের। দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার না করা সুইমিং পুল বা ক্লোরিনেটেড নয় এমন বদ্ধ পানিতে দ্রুত ছড়ায় মগজ-খেকো অ্যামিবারা।

এসব অ্যামিবা সাধারণত গরম পানির ঝিল, মাটি বা গরম জলধারায় থাকে। দূষিত পানি পান করলেই কারও শরীরে এই অ্যামিবা প্রবেশ করতে পারে না।

২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত আমেরিকায় ৩৪ জন এই ঘাতক অ্যামিবার শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। ১৯৬২ থেকে এখনও পর্যন্ত আমেরিকায় ১৪৫ জনের শরীরে অ্যামিবা প্রবেশ করেছে। তাদের মধ্যে তিনজন ছাড়া বাকি সবাই মারা গিয়েছেন।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, হ্রদে গোসল করার সময় সাধারণত এই অ্যামিবার শিকার হতে পারেন যে কেউ। এই অ্যামিবা সরাসরি মস্তিস্কে আঘাত করে। নাক দিয়ে প্রবেশ করে সোজা মগজে হানা দেয় এই প্রাণী।

যে সব হ্রদের পানি সাধারণত পরিষ্কার করা হয় না সেখানেই থাকে এই প্রাণী। এমনকি ফ্যাক্টরি থেকে নিষ্কাশিত গরম পানিতেও এই প্রাণীর দেখা মেলে।

উল্লেখ্য, নাইগ্লেরিয়া ফোলেরির বৈশিষ্ট্য হলো এই এককোষী প্রাণী নাক দিয়ে ঢুকে মস্তিষ্কে পৌঁছে যায়। তারপর স্নায়ুকোষকে টার্গেট করে। কোষ বিভাজন ঘটিয়ে সংখ্যায় বেড়ে স্নায়ুকোষের দফারফা করে দেয়।

প্রচণ্ড সংক্রামক এবং দ্রুত কোষে ছড়িয়ে পড়তে পারে এই এককোষী প্রাণী। দ্রুত অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ড্রাগ না দিলে মস্তিষ্কের কোষ ছিঁড়েখুঁড়ে দেয় এই প্রাণীরা। এই সংক্রমণে যে রোগ হয় তাকে বলে নাইগ্লেরিয়াসিস বা প্রাইমারি অ্যামিবিক মেনিনগোএনসেফেলাইটিস। এর উপসর্গ হলো জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, পেশির খিঁচুনি, হাইপারথারমিয়া, হ্যালুসিনেশন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design By Rana