বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০০ অপরাহ্ন
কান্জরপাড়ায় খাইরুল বশরের অপ্রতিরোধ্য মাদক ব্যবসা! নেপথ্যে স্থানিয় সিন্ডিকেট
নিজস্ব প্রতিবেদক::
টেকনাফ উপজেলার ১নং হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কান্জরপাড়ায় দুই মাদককারবারীর কারণে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। খাইরুল বশর প্রকাশ বর্মাইয়্যা বশর,ফকির আহমদ একজন পুরাতন ও আরেকজন নতুন রোহিঙ্গা। ফকির উনছিপ্রাং পুটিবনিয়া ২২ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করে। খাইরুল বশর পিতা:আব্দু শুকুর বিগত ৭/৮ বছর পূর্বে বার্মা থেকে এসে কান্জরপাড়ায় আব্দুশুক্কুরের বাড়ির আঙ্গিনায় এক কুড়ে ঘরে অবস্থান করে। পরে জনৈক জয়নালের বাড়ির পাশে সেমিপাকা বিল্ডিং ঘর করে স্থায়ী ভাবে বসবাস করছে। তার আসল পিতা গোপন করে ভুঁয়া এনআইডি,জম্মনিবন্ধন সহ বাংলাদেশী সাজতে অনেক জাল কাগজপত্র সৃজন করেছে। এর পিছনে কারা জড়িত তা ও অনুসন্ধানে চলে এসেছে। বর্তমানে
সে বর্মী নাগরিক হওয়ার সুবাদে তার সাথে বার্মার যোগাযোগ নিত্যদিনের। অভিযোগ রয়েছে উক্ত খাইরুল বশর ২২ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক কারবারীদের বড় বড় মাদকের চালান কান্জরপাড়ার নাফনদী হয়ে ক্যাম্পে সরবরাহ করে। রোহিঙ্গা ফকির আহমদ সহ তার রয়েছে মাদকের শক্তিশালী সিন্ডিকেট। স্থানিয় কান্জরপাড়ার কিছু অসাধু ব্যাক্তিবর্গ তাকে সহযোগিতা করে বলে ও জানা যায়। মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট কান্জরপাড়ার বেশ কয়েকজন স্থানিয় ব্যাক্তি তাকে আশ্রয় দেয় বলে ও এলাকাসুত্রে জানা যায়। সুত্রে প্রকাশ উক্ত খাইরুল বশর নিজেকে একজন মৎস্যজীবি বা জেলে বলে পরিচয় দিলে ও নেপথ্যে রয়েছে মাদকের অনেক কাহিনী। এলাকার বেশ কিছু নেতা নামধারী ব্যাক্তি সহ কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে তার মাদকের আধিপত্য বজায় রাখে। ২২ নং ক্যাম্পের ও স্থানিয় মাদককারবারীদের সাথে রয়েছে গোপন সম্পর্ক! স্থানিয়রা জানায়,সে একদিকে মাদকের বড় চালান আনে,আবার এলাকায় খুচরা ইয়াবা বিক্রি করে থাকে।তার রয়েছে কয়েকটি মাদক মামলাও। তার মাদক সাম্রাজ্যের অশুভ তৎপরতার ফলে কান্জরপাড়ার উৎতি বয়সের যুবক,কিশোররা মাদকাসক্ত হয়ে উঠেছে। কেউ প্রতিবাদ করলে আলেকিন সহ হাকিম ডাকাতের ভয় দেখায় খাইরুল বশর। বর্তমানে কান্জরপাড়াকে মাদকের গোপন সাম্রাজ্য বানাতে নানা অপতৎপরতা শুরু করেছে। তার সাথে অপরিচিত অনেক মানুষ সময়ে অসময়ে ঘুরতে ও দেখেছে এলাকাবাসী।
এদিকে কান্জরপাড়ার মাদকের চালান খালাসকারী খাইরুল বশর ও ফকির আহমদ কে আইনের আওতায় আনতে গণহারে প্রতিবাদ তুলেছে এলাকাবাসী। এলাকার প্রায় অর্ধ শতাধিক মানুষের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ স্থানিয় চেয়ারম্যান মেম্বারের সুপারিশ সহ আইনশৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে ইতোমধ্য প্রেরণ করেছে। যা প্রতিবেদকের নিকট সংরক্ষণ রয়েছে।
Leave a Reply