বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
টেকনাফে অস্ত্র দিয়ে যুবককে ফাঁসানোর প্রতিবাদে রাস্তায় নামলেন ছাত্র-জনতা পুলিশে ৩৬০০ কনস্টেবল নিয়োগ, আবেদন ফি ৪০ টাকা শিক্ষা কমিশনে নাস্তিকদের সরিয়ে ইসলামি শিক্ষাবিদ ও আলেমদেরকে দিতে হবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৫৮১ জন শহীদ হয়েছে : স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ কমিটি মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন আরও ৮৫ বাংলাদেশি বিদ্রোহীদের দখলে মিয়ানমারের বড় এলাকা, ক্ষমতাচ্যুতের পথে জান্তা? টেকনাফ কে সন্ত্রাস মুক্ত শান্তির শহর বানাবো- শাহজাহান চৌধুরী কোস্ট ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত হোয়াইক্যং আলিয়া আছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নারী ফুটবল প্রীতি ম্যাচ সম্পন্ন সেনাবাহিনীর হাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব: ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা যা যা করতে পারবেন এখন স্বাধীন দেশে বসবাস করছি: আগে স্বাধীন ছিলাম না : পীর সাহেব চরমোনাই
কাস্টমসের সুরক্ষিত গুদাম থেকে ৫৫ কেজি স্বর্ণ গায়েব!

কাস্টমসের সুরক্ষিত গুদাম থেকে ৫৫ কেজি স্বর্ণ গায়েব!

ডেস্ক রিপোর্ট :

যারা দায়িত্বে ছিলেন ও নতুন দায়িত্বে এসেছেন সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে
হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঢাকা কাস্টমসের সুরক্ষিত গুদাম থেকে সাড়ে ৫৫ কেজি স্বর্ণ চুরির ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে বিমানবন্দরের কাস্টমসের বাইরের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করছে গোয়েন্দা পুলিশ। সেখান থেকে ফুটেজ গায়েব করা হয়েছে কী না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। হারুন বলেন, বিমানবন্দরের মতো জায়গায়, যেখানে কঠোর নিরাপত্তা, সেখান থেকে সোনা গায়েবের ঘটনাটি আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। বদলি হওয়া ও বদলি হয়ে আসা এবং আগে পরে যারাই সেখানে যাতায়াত করেছেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। মামলা হওয়ার পর থানা পুলিশ প্রথম তদন্ত করছিল। ডিবি তদন্ত ভার পেয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে আমরা অনুরোধের প্রেক্ষিতে তারা গোডাউনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আটজনকে আমাদের কাছে পাঠায়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর মধ্যে চারজন্য সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, চারজন সিপাহী।
নিয়মানুযায়ী যারা বদলি হবেন আর নতুন যারা আসবেন তাদের কাছে সব কিছু বুঝিয়ে দেবেন পুরাতনরা। সেখানে কারা কারা গেছেন, অন্য কারো যোগাযোগ ছিল কী না, দায়িত্ব হস্তান্তরে কোনো সমস্যা ছিল কী না, সিসিটিভি লাগানো ছিল কী না, নষ্ট ছিল কী না। সন্দেহভাজনদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় নিয়ে আসবো। সব কিছু বিচার বিশ্লেষণ করলে বোঝা যাবে। প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যে- বিমানবন্দরের মতো একটা জায়গায় এতোগুলো সোনা চুরি হয়ে গেলো, অথচ কেউ কিছু জানবে না?
সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ঊর্ধ্বতন কেউ জড়িত থাকলেও ছাড় দেয়া হবে না। সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব করার অভিযোগ সম্পর্কে হারুন বলেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা জানার কথা, কর্তৃপক্ষও জানবে স্বাভাবিক। অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা বের করতে পারবো বলে আশা করছি। অনুমতি ছাড়া যেখানে যাওয়া যায় না, সেখানে ডিবি কর্মকর্তারা গেলেও অনুমতি লাগে, এ অবস্থায় ডিবির তদন্ত কাজ বাধাগ্রস্ত হবে কী না- জানতে চাইলে হারুন বলেন, আমরা মনে করি- তারা তদন্তে আন্তরিক ও সহযোগিতা করবেন। আশা করছি- আমরা স্বাধীনভাবে তদন্ত করতে পারবো। ক্যাডার বা নন ক্যাডার বলে নয়, অপরাধ তো অপরাধই। অপরাধী যেই হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design By Rana