রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫২ পূর্বাহ্ন
কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রামের খালেদ সাইফুল্লাহ আমিনী নামক এক প্রতারক বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে চাকরি দেওয়ার নামে ৫ লাখ টাকা আত্মসাত!
নিজস্ব প্রতিবেদক::
কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার খালেদ সাইফুল্লাহ আমিনী নামক এক প্রতারক বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে চাকরি দেওয়ার নামে কক্সবাজার জেলার টেকনাফের এক মাদরাসার প্রিন্সিপ্যালের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী পরিবার খালেদ সাইফুল্লাহ আমিনী নামক উক্ত প্রতারকের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল মেজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং- (সিআর)১১৫৭/২০১৯। ধারা-৪০৬/৪২০।
ভোক্তভোগী পরিবার ও তদন্তকারী কর্মকর্তা জানায়, সাবেক এমপি মরহুম আলহাজ্ব আব্দুল গফুর চৌধুরীর সুযোগ্য সন্তান ও জেলার শীর্ষ কওমী বিদ্যাপীঠ জামেয়ায় দারুস্সুন্নাহর পরিচালক মৌলানা আবছার উদ্দিন চৌধুরীর সাথে
২০১৭ সালে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণ করতে আসলে সে সুবাদে কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলাস্থা কাগজী বাজার গ্রামের হাজী সাইফুল ইসলাম প্রকাশ পেরাগ হাজীর পুত্র মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আমিনীর সাথে পরিচয় হয়।
উক্ত পরিচয়ে খালেদ সাইফুল্লাহ আমিনী টেকনাফ ও কক্সবাজারে বেশ কয়েকবার বেড়াতে ও আসে। মামলার বাদী মাওলানা আবছার উদ্দিন চৌধুরীর সাথে বিবাদীর সখ্যতা গড়ে উঠে। বিবাদী নিজেকে মহামান্য রাষ্ট্রপ্রতির ঘনিষ্ট আত্মিয় বলে পরিচয় দেয়। পেইজবুকে মহামান্য রাষ্ট্রপ্রতির সাথে যৌথ প্রোফাইল ছবি দেখিয়ে বিশ্বাস জমায়। এক পর্যায়ে বাদী কে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে চাকুরির শুন্যপদে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে ১০ লাখ টাকা দাবী করে। প্রথমধাপে ৫ লাখ দিবে,বাদবাকি টাকা চাকুরী হওয়ার পরে দিতে হবে বলে মুখিক চুক্তি করে। বাদী সহজ সরল একজন আলেম মনে করে বিবাদীর কথায় বিশ্বাস করে জমি বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক ঢাকা খিলক্ষেত শাখায় জমা করে। টাকা পাওয়ার পর বিবাদী প্রতারক সাইফুল্লাহ আমিনী ফোন রিসিভ না করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। বাদী বিবাদীর সাথে শত যোগাযোগ করে ও ব্যর্থ হওয়ায় ০১/০৯/২০১৯ কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল মেজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞ আদালত মামলা তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)কে নির্দেশ দেয়। গোয়েন্দা পুলিশ গোপনে ও প্রকাশ্যে তদন্ত শেষে বিদূর লিখিত অভিযোগ সত্য বলে প্রতিয়মান হয় মর্মে কোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে। বিবাদী কোর্টে হাজার না হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত তার উপর সমন জারী করে। অষ্ট্রগ্রাম থানা পুলিশ জানায়,তার গ্রেপ্তারী পরওয়ানা আমাদের হাতে রয়েছে। সাইফুল্লাহ আমিনী এলাকার বাইরে পলাতক থাকায় তাকে আটক করা যাচ্ছেনা।
এলাকা সূত্রে আরো জানা যায়,সাইফুল্লাহ আমিনী একজন বড়মাপের প্রতারক।
সে দীর্ঘদিন ধরে সরকারের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে, এমন কি মহামান্য রাষ্ট্রপ্রতির আত্মিয় পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জনের সঙ্গে নানা কৌশলে প্রতারণা করে আসছে। চাকরি দেওয়া, জমি উদ্ধার, ফ্ল্যাট উদ্ধার এসব কাজের কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বর্তমানে ঢাকায় চেম্বার খুলেছে বলে বিশেষ সূত্র জানা গেছে। তার প্রতারণার বিষয়টি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে অবহিত করা হয়েছে।
Leave a Reply