বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফে খারাংখালী পয়েন্ট দিয়ে মাদকের চালান অনুপ্রবেশের সময় বিজিবি-মাদক কারবারীদের মধ্যে ফাঁকা গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ৬০হাজার পিস ইয়াবা জব্দ হলেও খারাংখালী-নয়াবাজারের চিহ্নিত মাদক কারবারী সিন্ডিকেট সদস্যদের আটক করা যাচ্ছেনা।
সুত্র জানায়, গত ৯নভেম্বর (সোমবার) রাত ১০টারদিকে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের খারাংখালী বিওপির বিশেষ একটি টহল দল মিয়ানমার হতে মাদকের চালান আসার সংবাদ পেয়ে জনৈক মোস্তাকের মৎস্যঘেঁরে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর এক ব্যক্তি এক ব্যক্তি হেঁটে বেড়িবাঁধের দিকে আসছে এবং অপর একজন ব্যক্তি সাতাঁর কেটে এসে মিলিত হওয়ার সময় বিজিবি জওয়ানেরা ধাওয়া করে তাদের আটকের চেষ্টা চালায়। তখন মাদক কারবারীরা ফাঁকাগুলিবর্ষণ করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন বিজিবিও আতœরক্ষার্থে কয়েক রাউন্ড পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে মাদক কারবারীরা ভীত হয়ে একটি প্লাস্টিকের বস্তা ফেলে পালিয়ৈ যায়। দীর্ঘক্ষণ আশ-পাশের এলাকা তল্লাশী করে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে প্লাস্টিকের বস্তাটি উদ্ধার করে ব্যাটালিয়ন সদরে নিয়ে গণনা করে ৬০হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
তা পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করার জন্য ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে বলে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) নিশ্চিত করেন।
এদিকে খারাংখালীর স্থানীয় লোকজনের দাবী, দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে টেকনাফে মাদক বিরোধী অভিযান শিথিল হওয়ায় ফেরারী থাকা মাদক কারবারীরা ফিরে এসে আরো শক্তিশালী এবং স্বশস্ত্র অবস্থায় সংঘবদ্ধ হয়ে মাদকের অপতৎপরতা চালাচ্ছে। এখনো স্থানীয় বৃহত্তর মহেশখালীয়া পাড়ার খোকন, শাহ আলম, রফিক, ঈমান হোছন, আক্তার, ইসমাঈল, শমসু, গুদা পাড়ার শুক্কুর, ভেক্কা, মেজর, গুরা পুতিয়া, হেলাল, অলি আহমদসহ ২০/২৫জনের সিন্ডিকেট এখনো বহাল তবিয়্যতে রয়েছে।
ইতোর্পূবে গত ১১ আগস্ট রাত পৌনে ৯টার দিকে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের খারাংখালী বিওপির একটি বিশেষ টহল দল মিয়ানমার হতে মাদকের চালান আসার সংবাদ পেয়ে বেড়িবাঁধে কৌশলী অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর মিয়ানমার হতে একটি হস্তচালিত নৌকা বাংলাদেশে দিকে এলে বিজিবি চ্যালেঞ্জ করে। এসময় মাঝপথে নৌকা থেকে লাফ দিয়ে মিয়ানমারে পালিয়ে যায় আরোহীরা। পরে নৌকাটি তীরে এনে তল্লাশী করে ২টি ইয়াবার বস্তা পাওয়া যায়। তা ব্যাটালিয়ন সদরে নিয়ে গণনা করে ২ লাখ ৩০ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য,খারাংখালীর একিটি সিন্ডিকেট এখনো সক্রিয় রয়েছে।
Leave a Reply