বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৪৭ অপরাহ্ন
১১৬ জন আলেম ও ধর্মীয় বক্তা এবং এক হাজার মাদরাসার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে দুর্নীতি দমন কমিশনে একটি শ্বেতপত্র জমা দিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমন্বয়ে গঠিত গণকমিশন। দেশের সর্বস্তরের আলেম-ওলামারা এর তীব্র প্রতিবাদ করছেন।এদিকে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমন্বয়ে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গঠিত গণকমিশনের আইনি ভিত্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এই গণকমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের ২৭তম বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গণকমিশন নিয়ে ওই মন্তব্য করেন তিনি।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, গণকমিশনের আইনে কোনো ভিত্তি নেই। তাঁরা একটি বই প্রকাশ করেছে ‘২০০৩ এ সন্ত্রাস’ নামে। বইয়ের ভেতরে কি লিখেছে তা আমি জানি না। এগুলো আমাদের দেখতে হবে। তারা কাদের নামে সন্ত্রাস ও দুর্নীতির দায় দিয়েছেন এগুলো আমরা কেউই কোনোও তদন্ত করিনি। সুতরাং এ বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না। তাঁরা দিয়েছেন। আমরা না দেখে বলতে পারব না, দেখে বলতে হবে।
গণকমিশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে হেফাজত আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছে। তাঁরা আন্দোলনে নামলে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে? এমন প্রশ্নের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইন কেউ হাতে নিলে আমাদের যা করোনিয় সেটাই করবো। এটা স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছি। আমরা একটি কথা জোর দিয়ে বলতে চাই যে অভিযোগের কোনো প্রমাণ নেই সে অভিযোগ আমরা আমলে নেই না।
গণকমিশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে হেফাজত আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছে। তারা আন্দোলনে নামলে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে? এমন প্রশ্নের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইন কেউ হাতে নিলে আমাদের যা করণীয় সেটাই করবো। এটা স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছি। আমরা একটি কথা জোর দিয়ে বলতে চাই যে অভিযোগের কোনো প্রমাণ নেই সে অভিযোগ আমরা আমলে নেই না।
গত ১১ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লার কাছে শ্বেতপত্র ও ১১৬ জন ধর্মীয় বক্তা ও আলেমের নামের তালিকা হস্তান্তর করে গণকমিশন। ধর্মীয় বক্তা ও আলেমকে ধর্ম ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে দেওয়া ২২শ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনের ৭৬০ ও ৭৬১ পৃষ্ঠায় তাদের নাম প্রকাশ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জঙ্গি অর্থায়ন ও ওয়াজের মাধ্যমে তারা ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্টের অভিযোগ করেছে কমিশন। তবে এরই মধ্যে এই শ্বেতপত্র নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। গণকমিশনের দেয়া শ্বেতপত্র বাজেয়াপ্ত ও জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে ইসলামিক কালচারাল ফোরাম।
রাজধানীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে চাঁদাবাজি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন- শুধু মন্ত্রী নয়, যে কারোর নামে চাঁদাবাজি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply