বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৯ অপরাহ্ন

চট্রগ্রামের চান্দগাঁওয়ের ফ্ল্যাটে রোহিঙ্গার ঘাঁটি, ইয়াবার টাকায় অস্ত্র যোগায় ক্যাম্পে

চট্রগ্রামের চান্দগাঁওয়ের ফ্ল্যাটে রোহিঙ্গার ঘাঁটি, ইয়াবার টাকায় অস্ত্র যোগায় ক্যাম্পে

থেকে নিষিদ্ধ মাদক ইয়াবা এনে সারাদেশে বিক্রি করে সেই টাকায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র সরবরাহকারী চক্রের আরও চার সদস্যকে আটক করেছে বাকলিয়া থানা পুলিশ। ২৩ হাজার ইয়াবা উদ্ধারের পাশাপাশি নগদ টাকা জব্দ করা হয়েছে প্রায় পৌনে নয় লাখ।

শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) দিনব্যাপী অভিযানে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানার নিউ চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা থেকে এসব ইয়াবা ও টাকা উদ্ধার করা হয়।

নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘বাকলিয়া থানা পুলিশের হাতে প্রথমে দুই ব্যক্তি এক হাজার ইয়াবা নিয়ে আটক হয়। তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আমরা ইয়াবার এই আস্তানার সন্ধান পাই নগরীর বহদ্দারহাট সংলগ্ন নিউ চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায়।’

নগর পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (চকবাজার জোন) মুহাম্মদ রাইসুল ইসলাম জানান, ‘প্রথমে ফোরকান মাসুদ ও মোবারক হোসেন নামে দুই ব্যক্তি আমাদের বাকলিয়া থানা পুলিশের হাতে এক হাজার ইয়াবা নিয়ে ধরা পড়েন। তাদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা নিউ চান্দগাঁও আবাসিকের এই ফ্ল্যাটের সন্ধান দেন।

বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন জানান, ‘ফোরকান ও মোবারকের দেওয়া তথ্যে আমরা বহদ্দারহাট নিউ চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ৪ নম্বর সড়কের ওই বাড়ির তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিযানে আরও ২২ হাজার ইয়াবা এবং নগদ ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৬২২ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ফোরকানের স্ত্রী শামীম আরা সুমি এবং রাসেল নামে ইয়াবা ব্যবসার সম্পৃক্ত আরও এক ব্যক্তিকে।’

এছাড়াও দুজনের কাছে দুটি পাসপোর্ট, কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না থাকলেও কোটি টাকার ওপরে লেনদেনের ব্যাংক স্টেটমেন্ট পাওয়া গেছে। জব্দ করা হয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকের ১২টি চেক বইও।

ওসি নেজাম আরও জানান, মোবারক এবং ফোরকানকে জিজ্ঞাসাবাদে আমরা তাদের সাথে ৫ নভেম্বর গ্রেপ্তার হওয়া রাজ্জাক এবং কামালের সম্পৃক্ততা পাই। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।

প্রসঙ্গত, ৪ নভেম্বর আমেরিকায় তৈরি একটি পিস্তলসহ কক্সবাজার যাওয়ার পথে পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন আব্দুর রাজ্জাক নামের এক ব্যক্তি। তার দেওয়া তথ্য অনুসারে কক্সবাজার লেদা ক্যাম্পের পাশ থেকে আটক করা হয়েছিল কামাল নামে আরও এক ব্যক্তিকে। তারা ইয়াবা বিক্রি করে সেই টাকায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design By Rana