ডেস্ক রিপোর্ট ২৪.কম।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সন্ত্রাস-সহিংসতার ঘটনাগুলোকে জঙ্গিবাদী কাজ দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে যে ঘটনাগুলো ঘটছে, আসলে এটা কোনো রাজনৈতিক কিছু নয়। জামায়াত-শিবির ও বিএনপির জঙ্গীরা আজকে ‘আমাদের ওপর থাবা দিয়েছে।

সোমবার গণভবনে ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এখানে ওই শিবির, ছাত্রদল ও বিএনপি-জামায়াত এরাই এবং জঙ্গী এরা।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রসঙ্গে  প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের উদ্দেশ্যটা এখন বোঝা যাচ্ছে যে কোটা কোনো ইস্যু নয়। যে কয়টা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের সেবা দেয়, যেগুলো বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নত করে, একে একে সেগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশটাকেই যেন ধ্বংস করে ফেলা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ বাংলাদেশে উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বব্যাপী একটা মর্যাদার আসন পেয়েছে। বাংলাদেশের নাম শুনলে সবাই সমীহ করে চলে। সবাই সম্মানের চোখে দেখে। একটা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশকে আমরা তুলে আনতে সক্ষম হয়েছি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে, অবকাঠামোগত উন্নয়নের মধ্য দিয়ে।

প্রধানমন্ত্রীর সূচনা বক্তব্যের পর তার সভাপতিত্বে ১৪ দলের রুদ্ধদ্বার বৈঠক শুরু হয়। রাত আটট পর্যন্ত চলা এই বৈঠকে ১৪ দলের নেতারা অংশ নিয়েছেন।

এর আগে গণভবনে ছাত্রলীগের নারী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি বলেন, জামায়াত-শিবির কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ঘাড়ে চেপেছে। এই আন্দোলনের ঘাড়ে চেপেই তো বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা সুযোগ পেয়ে গেল। তার সঙ্গে জুটলো কিছু অতি বাম, অতি ডান। এটা অদ্ভুদ ব্যাপার।

তিনি বলেন, আমাদের অতি বামপন্থীরা এখন শিবিরের লেজুড়বৃত্তি করে, জামায়াতের লেজুড়বৃত্তি করে। তাদের সঙ্গে এখন এক সাথে হয়ে গেল। অদ্ভুদ সমাজ, আমি জানি না। তাদের কিসের আদর্শ, কিসের নীতি?