শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন’ এবং অতঃপর প্রতারণার খবর প্রায়ই চোখে পড়ে। প্রেমের সম্পর্কে যৌনতা থাকবে, তাতে আর আশ্চর্যের কী আছে! কিন্তু প্রেমিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য যদি কেউ প্রতারণার আশ্রয় নেয়, তাহলে আইনে চোখে সেই ব্যক্তি কিন্তু অপরাধী।
টেকনাফ পৌর সভার ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হাজী মো: ইউনুছের পুত্র রাহেদ হোছাইন বরইতলীর মিনারা নামের এক সুন্দরী মেয়েরর সাথে প্রেম অতপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বামী স্ত্রীর মত চলাচল করে আসছিল। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে প্রেমিকা মিনারা কে বিয়ে না করে উল্টো হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বর্তমানে মিনারা সর্বশেষ আত্মহত্যার পথ বেচে নিয়েছে। প্রেমিকের বয়স ২৭, আর প্রেমিকার ২৩। এক সহপাঠীর সঙ্গে টেকনাফের এক মার্কেটে তাদের প্রথম পরিচয়। এর পর মিনারার সাথে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গভীর হয় রাহেদ হোছাইন নামে উক্ত যুবকের সাথে। তার বাড়ি টেকনাফ পৌর সভার নাইট্যং পাড়া এলাকায়। প্রায় ৯ মাস ধরে ওই তরুণীর সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করেছে রাহেদ। কিন্তু সেই সম্পর্কের পরিণতি কিন্তু সুখের হচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত রাহেদ তার প্রেমিকা মিনারার সাথে বিয়ে তো দূরের কথা উল্টো টাকা পয়সা নিয়ে তার সঙ্গে প্রতারণা শুরু করেছে! তেমনই অভিযোগ ওই তরুণী মিনারার।
রাহেদ হোছাইনের প্রেমিকার দাবি, রাহেদ তাঁকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বলেই তার জীবন যৌবন সব কিছু তাকে বিলিয়ে দিয়েছে। এমন কি সেই প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করেই সহবাসে আপত্তি ও করেননি তিনি। একবার নয়, গত ৯ মাসে কোন না কোন দিন প্রেমিকার সঙ্গে রাহেদ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই যুবতীর দাবি,এক পর্যায়ে তিনি ৪ মাসের গর্ভবতী হলে রাহেদ হাসপাতালে নিয়ে গর্ভপাত করে। কিন্তু এখন তার পরিবারের চাপের মুখে আর বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না রাহেদ। যতই বার প্রেমিককে বিয়ে করার কথা বলেছেন, ততই এড়িয়ে গিয়েছে সে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে, যে এখন ওই যুবতীকে রাহেদ ও তার পরিবার রীতিমতো হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে বাধ্য হয়েই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিয়ে না করায় আত্মহত্যা ছাড়া কোন পথ নেই বলে জানান যুবতী মিনারা। মিনারা জানায়, সে আমাকে নিজের স্ত্রী হিসাবে কক্সবাজার,বান্দারবানে,ইনানী,টেকনাফ সহ অনেক হোটেলে রাত্রিযাপন করে স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে তার যৌন চাহিদা মিটিয়েছে। আমার গচ্চিত অনেক টাকা,স্বর্ণ আত্মসাত করেছে। মিনারা টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বরইতলী
গ্রামের মৃত আবুল হোছাইন ও মাতা ছবুরা খাতুনের মেয়ে । এ ব্যাপারে রাহেদ হোছাইনের-০১৯০৯৩২৪৪৬০ মুঠোফোনে জানতে চাইলে রাহেদ প্রেমের কথা স্বীকার করে এ প্রতিবেদক কে জানান,আমি তাকে বিয়ে করবো। আমার পরিবার কে ম্যানেজ করতে একটু সময় হচ্ছে। আমার পরিবারের সকলে এ বিষয়টি জানে। রাহেদ এর স্বীকারুক্তি মূলক অডিও এবং মিনারার সাথে আপত্তিকর অবস্থায় তুলা ছবি প্রতিবেদকের নিকট সংরক্ষিত আছে।
তথ্য সূত্র: দৈনিক কক্সবাজার ৭১।
Leave a Reply