শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৭ অপরাহ্ন
নেপথ্য দিল মোহাম্মদ দিলু সহ ১০ জনের সিন্ডিকেট!
টেকনাফের নাইট্যং পাড়ায় ইয়াবার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে সংঘর্ষে আহত-২
নিজস্ব প্রতিবেদক::
টেকনাফ পৌর সভার ১ নং ওয়ার্ড নাইট্যং পাড়ায় ইয়াবা লুটপাট কে কেন্দ্র করে মাদক কারবারীদের সাথে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ২ জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত ২ জনের নাম মোঃ হোছন প্রকাশ ভুলু(৪২) এবং তার ছোটভাই ইমাম হোছন(৩২)।তারা উভয়ে নাইট্যং পাড়ার মৃতু শহর মুল্লুকের পুত্র। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী দুপুর ২টায়।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে এলাকাবাসী জানায়,
গত ২৫ ফেব্রুয়ারী-২০২২ মিয়ানমারের মংডু পেরামপুর থেকে সে দেশের মাদকের কুখ্যত গডফাদার ছৈয়দ আলম ওরপে মিড়া ছৈয়দ ১০ কাট তথা ১ লাখ ইয়াবার একটি চালান পাঠায় টেকনাফ নাইট্যং পাড়ার জনৈক হাবিব ও ইদ্রিসের নেতৃত্বাধীন একটি চিহ্নিত মাদক সিন্ডিকেটের নিকট। খবর পেয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারী স্থানিয় ১ নং ওয়ার্ডের পৌর কমিশনার দিল মোআহাম্মদ দিলু চাপ প্রয়োগ করে ১০ কাট ইয়াবা নিজের অনুকূলে নেয়। ২৭ ফেব্রুয়ারী সকালে তার মেয়ের জামাই ইদ্রিস কে ২ লাখ টাকা পন আদায় করে ৬ কাট(৬০.০০০ পিচ) ইয়াবা দিয়ে দেয়। বাকি ৪ কাট(৪০.০০০) ইয়াবা জমা রাখে উক্ত কমিশনার। যা দুটি গ্রুপ নিজেদের বলে দাবী করে আসছিল।মাদক কারবারীদের দুটি গ্রুপ তার ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে এলাকায় হৈচৈ ফেলে দেয়। এক পর্যায়ে দুটি গ্রুপের মধ্য সংঘর্ষের উপক্রম হয়। উভয় গ্রুপ পরস্পর আত্মিয়।
২৮ ফেব্রুয়ারী দুপুরে দিল মোহাম্মদ দিলু(কমিশনার-১নং ওয়ার্ড)এর ভাগিনা যথাক্রমে শওকত এবং ওমর আলী তাদের ভগ্নিপতি(আপন দুলাভাই) মোঃ হোছন প্রকাশ ভুলুর সাথে উক্ত মাদক তাদের বলে বাড়াবাড়ি করে। এক পর্যায়ে শ্যালকদ্বয়
শওকত ও ওমর আলী ইয়াবার উক্ত ঘটনার জের মোঃ হোছন প্রকাশ ভুলু কে উপর্যপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। এতে বাধা দেয়ার তার আরেক সহোদর ইমাম হোছাইন কে ও ছুরিকাঘাত করে। পরে তাদের কে স্থানিয় জনতা উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করে। কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে পরে ইমাম হোছাইন কে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকা জনক বলে জানায় তার পরিবার।ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত মোঃ হোছন ভুলুর মা কামালিকা জানায়,ঘটনার মূল উৎপত্তি মাদক বলে স্বিকারুক্তি তে জানান।
এক অনুসন্ধানে জানা যায়, টেকনাফ নাইট্যংপাড়ার ১০২ জন আত্মস্বিকৃতি প্রাপ্ত কারবারিদের মধ্য নাইট্যং পাড়ার লাল মিয়ার পুত্র হাবিবুররহমান হাবিব ও একজন। উক্ত হাবিব তার সহযোগি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এর তালিকাভুক্ত মাদককারবারী জনৈক ইদ্রিস,আলমগীর হোসেন জাবের, ছৈয়দ নূর জাবের,এমরান,মুনিয়া সহ ১০ জনের একটি মাদকের সিন্ডিকেট রয়েছে। তারা স্থানিয়রা কমিশনার দিলুর আশ্রয় পশ্রয়ে থাকে বলে জনশ্রুতি ও রয়েছে। এলাকাবাসীর মতে, উক্ত দিলু নাইট্যংপাড়ার ইয়াবার বিষয়ে সংঘটিত রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের দায়ভার এড়াতে পারেনা। এ ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা একেবারেই উড়িয়ে দেয়া যায়না। তাকে আইনের আওতায় আনা হলে সব তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে জানান ভুক্তভোগি পরিবার। এ ব্যাপারে উক্ত কমিশনার দিলুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি আমার প্রতিপক্ষের অপপ্রচার বলে জানান কমিশনার দিলমোহাম্মদ দিলু।
টেকনাফ থানা পুলিশ জানায়,বিষয়টি নিয়ে পুলিশি তদন্ত চলছে। এর পর জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
সূত্র: দৈনিক সাগরদেশ
Leave a Reply