শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:১৪ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
টেকনাফের নয়াবাজারে ছৈয়দ হোসেনের মার্কেটের জমি নিয়ে প্রতিপক্ষ কে বারিত করে আদালতের রায়

টেকনাফের নয়াবাজারে ছৈয়দ হোসেনের মার্কেটের জমি নিয়ে প্রতিপক্ষ কে বারিত করে আদালতের রায়

নয়াবাজারে ছৈয়দ হোসেনের মার্কেটের জমি নিয়ে প্রতিপক্ষ কে বারিত করে আদালতের রায়
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বহু জল্পনা কল্পনার অবশেষে নিজ অধিকার ফিরে পেলো নয়াবাজারের ছৈয়দ হোসেন। স্থানিয় সূত্রে জানা যায়,টেকনাফ উপজেলার নয়াবাজারে সৈয়দ হোসেনর খরিদা জমির উপর মার্কেট সহ স্ব উদ্দোগে নির্মিত স্থাপনায় প্রতিপক্ষের একের পর এক বাধা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি স্থানিয় ভাবে মিমাংসা না হওয়ায় আদালতের আশ্রয় নেয় মার্কেটের প্রকৃত মালিক সৈয়দ হোসেন সেলিম ও মার্কেটের অভ্যন্তরে জমির দাবীদার নুর হোছন গং।
তা নিয়ে উভয় পক্ষ কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারায় এম.আর মামলা করে। ২০ শতক বিরোধীয় জমির মালিকানা দাবী করে নয়াবাজারের নুর হোছাইন পিতা: মৃত হাজী সোলেমান ( ছৈয়দ হোসেনের বড় ভাই) কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্রেট আদালতে স্মারক নং ১১৯৪/২১মূলে এম.আর মামলা দায়ের করেন। যা বিজ্ঞ আদালত নথিপত্র পর্যালোচনা করে উভয় পক্ষের কৌশুলীর বক্তব্য শুনানী শেষে গত ১৬.০২.২০২২ উক্ত মামলা খারিজ করে দেয়। পরে প্রতিপক্ষ মার্কেটের জমি দাবীদার নুর হোছাইন গং কে বিবাদী করে ছৈয়দ হোসেন সেলিম বাদী হয়ে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্রেট আদালতে আরেকটি এম.আর. মামলা দায়ের করেন। যার স্মারক নং-১৭৩১,তারিখ-০৬.০৯.২০২১।
এতে নিম্মের তফশীলের বিএস খতিয়ান-২১৭০, সৃজিত খতিয়ান-৯৬১৯
২০ শতক জমি হতে ৫ শতক বিরোধিয় জমির আপত্তি ছিল। উক্ত এমআর মামলার দীর্ঘ শুনানী শেষে সম্প্রতি গত ৬ জুন ২০২২ কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্রেট মোঃ আবু সুফিয়ান ১৮২৭ নং স্মারক মূলে মামলার নথি পর্যালোচনা ও শুনানি শেষে নুর হোছাইন গং কে বারিত করে চুড়ান্ত রায় প্রদান করেন।
বিজ্ঞ আদালতের রায় মূলে ছৈয়দ হোসেন সেলিমের জমি বা মার্কেটে প্রতিপক্ষের ভুঁয়া দাবীর আর কোন মূল্য নেই বলে জানান মামলায় আদালতের ডিক্রি পাওয়া
ছৈয়দ হোসেন সেলিম। তিনি জানান যেহেতু মান্যবর আদালত প্রতিপক্ষ কে বারিত করে চুড়ান্ত রায় প্রদান করেছেন।
উল্লেখ্য যে,
হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াবাজার ষ্টেশনে সেমিপাকা মার্কেটের মালিক ছৈয়দ হোসেন একটি কক্ষ নিজ সহোদর নুর হোছাইন কে চুক্তিনামা মূলে ভাড়া দিয়েছিল। মেয়াদ শেষে মালিক ভাড়ায় থাকা নুর হোছাইন কে দোকানঘর ছেড়ে দিতে বললে শুরু হয় বিরোধ। এতে এক পর্যাায়ে ভাড়াটিয়া মালিকানা দাবী করে দোকান ছেড়ে দিতে গড়িমসি করে। তখন শুরু হয় জমি পাবার বাহানা। শেষ পর্যন্ত মামলার আশ্রয় নেয়।
ছৈয়দ হোসেন সাংবাদিকদের জানায়, ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে ৭/৮ টি মামলা হয়েছে। আমি একজন সরকারি চাকুরি জীবি হয়ে ও উক্ত মামলা সুফল কুফল ভোগ করতে হয়েছে। হয়রানীর শিকার হয়েছি অনেক।অবশেষে আল্লাহ আমার প্রতি সহায় হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত আমার পক্ষে ডিক্রি জারি করেছেন। এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ নুর হোছাইনের বক্তব্য নিতে মুঠোফোন কল দিলে মোবাইল রিসিভ করেননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design By Rana