শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন

টেকনাফের হোয়াইক্য ২২ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে এক বিধবার জমি জবরদখল!

টেকনাফের হোয়াইক্য ২২ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে এক বিধবার জমি জবরদখল!

টেকনাফের হোয়াইক্য ২২ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে এক বিধবার জমি জবরদখল: নেপথ্যে কতিপয় এনজিওর যোগসাজশ
নিজস্ব প্রতিবেদক ::
টেকনাফে বেসরকারি এনজিও সংস্থা ও
স্থানীয় জালাল উদ্দিনের যোগসাজশে প্রবাসীর জমি দখলের অভিযোগ ওঠেছে।

জানা যায়,টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যংইউনিয়নের উনচিপ্রাং ২২ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে সৌদি প্রবাসী হ্নীলা নাটমুড়া পাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা মরহুম আব্দুল মাবুদ এর খরিদা সূত্রে উত্তর হ্নীলা মৌজায় ৬টি পৃথক বিএস দাগের আন্দর ০৫ একর ৬০ শতক জমি রয়েছে। যার বিএস খতিয়ান নং-৫১৭ ও সৃজিত খতিয়ান -১৯৬১।
উক্ত জমিতে ভূমি দস্যু হ্নীলার জালাল উদ্দিনের যোগসাজশে ২২ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত কয়েকটি এনজিও সংস্থা অফিস, হাসপাতাল ও খাদ্য বিতরণের জন্য স্থাপনা তৈরি করে । উক্ত স্থাপনা বা অফিস থেকে জমির মালিক আব্দুল মাবুদের স্ত্রী লায়লা বেগম এনজিও সংস্থার নিটক তার জমির ভাড়া চাইলে এনজিও সংস্থাগুলো ভাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে জালাল উদ্দিনের কাছে প্রতিমাসে ভাড়া দেয় বলে জানিয়ে দেয়।
নিজস্ব জমির ভাড়া পাওয়ার জন্য
স্বামী হারা আব্দুল মাবুদের স্ত্রী লায়লা বেগম(বিধবা) ২২ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ সহ বিভিন্ন দপ্তরে জমির দলিলপত্র নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরে ২২ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ এনজিওগুলোকে জমির মালিক লায়লা বেগমকে ন্যায্য ভাড়া দেয়ার জন্য অনুরোধ জানান।

এতেও কর্ণপাত করেনি এনজিও সংস্থা গুলো।
জমির মালিক লায়লা বেগমের অভিযোগ,এনজিওগুলো ভূমিদস্যু জালাল উদ্দিনের সাথে যোগসাজশ করে জমির মূল মালিককে ভাড়া না দিয়ে অবৈধভাবেই জমি দখল করে রেখেছেন। বিষয় টি শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাস কমিশনার(আরআরসি),জেলা প্রশাসন কক্সবাজার,২২ নং ক্যাম্প ইনচার্জ কে লিখিত ভাবে অবহিত করেন। এতে কোন ফলোদয় না হওয়ায় অবশেষে নিরুপায় হয়ে ন্যায় বিচার পেতে জমির মালিক লায়লা বেগম উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেন। মাননীয় উচ্চ আদালত আবেদনকারীর আবেদন আমলে নিয়ে নিষ্পত্তি কল্পে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের নির্দেশ প্রদান করেন।
এদিকে উচ্চ আদালতের নিষ্পত্তির নির্দেশের পরেও জমির মালিক তার জমিতে গেলে ভূমিদস্যু জালাল অপহরন করবে এবং প্রাণে মারার অব্যাহত হুমকি প্রদান করে যাচ্ছে বলে ভূক্তভোগী লায়লা বেগম অভিযোগ করেন।

উল্লেখ্য যে,লায়লা বেগমের স্বামী প্রয়াত আব্দুল মাবুদ কথিত জালাল উদ্দিনকে উক্ত জমি লাগিয়ত ও ভাড়া তুলে তার স্ত্রী সন্তানদের জমা দেয়ার শর্তে একটি আমমোক্তার নামা প্রদান করেন। পরে জালাল উদ্দিন আব্দুল মাবুদের পরিবারকে জমি লাগিয়ত বা ভাড়ার টাকা দিতে গড়িমসি করায় উক্ত আম মোক্তারনামাটি সৌদিআরবস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে গিয়ে বাতিল করেন। এরপরেও জলাল জমির মালিক বলে দাবি করে এনজিওর সাথে যোগসাজশের মাধ্যমে দখল করে রেখেছে।
এ ব্যাপারে জলালের বক্তব্য নিতে তার মুঠোফোনে কল দিলে সংযোগ দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে তার বড় ভাই নুরুল কবির অন্যায় ভাবে লাগিয়ত করে বিধবার টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেন।
এমতাবস্থায় জমির প্রকৃত মালিক বিধবা লায়লা বেগম ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ন্যায় বিচার পেতে বিভিন্ন দপ্তরের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।#

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design By Rana