কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা মৌলভীবাজার ১নং ওয়ার্ডে মরিচ্যাঘোনায় মাটির দেওয়াল ধসে পড়ে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু হয়।
শুক্রবার ১৭ নভেম্বর রাত আনুমানিক ১টার দিকে মরিচ্যাঘোনা এলাকার বাসিন্দা ফকির আহমেদ এর নতুন মাটির কাঁচা নির্মাণাধীন ঘরের দেয়াল ধসে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী।
নিহতদের পরিচয় হল টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড মৌলভী বাজার মরিচ্যাঘোনার ফকির আহমদের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৫০), ছেলে সাইদুল মোস্তফা (২০), দুই মেয়ে নিলুপা বেগম (১৮) ও সাদিয়া বেগম (১১)
স্থানীয় প্রতিবেশী হ্নীলা ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মরিয়ম আক্তার বলেন,আমার বাড়ির পাশে ফকির আহমেদ বাড়ি। সে নতুন ঘর নির্মান করে কাঁচা মাটি দিয়ে। রাতে বৃষ্টি হওয়াতে কাঁচা দেওয়ালের মাটি গুলো ধসে যায়। পরে সেখানে থাকা ফকির আহমেদ এর স্ত্রী,ছেলে মেয়েসহ মোট চার জনের মৃত্যু হয়। ফকির আহমেদ প্রাণে বেঁচে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা হাফেজ মাওলানা নুরুল ইসলাম জানান,আজ রাত ১টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে রাতে ভারী বৃষ্টির কারনে কাঁচা দেয়াল ধসে মরিচ্যাঘোনায় একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু হয়। তারা অনেক অসহায় পরিবার। ফকির আহমেদ এর পরিবারে ৪ জনের মৃত্যু হয়। এলাকার প্রতিবেশীরা এসে তাদের উদ্ধার করে।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী জানান,হ্নীলা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ড মরিচ্যাঘোনা এলাকার ফকির আহমদ নতুন ঘর নির্মাণ করে। সে কাঁচা ঘরে তারা দেওয়ালের পাশে রাতে থাকে। রাতে ভারী বৃষ্টির কারনে দেওয়ালচাপায় ফকির আহমেদ এর স্ত্রী, ছেলে মেয়েসহ মোট চার জনের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে ফকির আহমেদ বেঁচে যায়। মূল কথা হলো এরা সচেতন ছিল না। পাহাড়ি এলাকায় আমাদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন। প্রতিনিয়ত বর্ষাকালে এখানে পাহাড় ধস হয়। আমি অত্র ইউনিয়নবাসীকে বলবো আপনারা ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা থেকে সরে গিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেন। ভারী বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আজকের এই ঘটনায় আমরা খুবই মর্মাহত। বৃদ্ধ ফকির আহমেদ ছাড়া এ পরিবারে আর কেউ নেই। ফকির আহমদ অসহায় একজন দিনমজুর।
ফকির আহমেদ
কে হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, পরিষদের পক্ষ থেকে আর্থিকভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে যাব।
একই সাথে ইউএনও টেকনাফ ও আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন ।