শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ০৫:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার দাবীতে কক্সবাজার শহরে ইসলামী আন্দোলনের স্বাগত মিছিল কক্সবাজারে হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক ৩৬০০পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার-১ ইসলামী আন্দোলনের টেকনাফ উপজেলার উত্তর শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত টেকনাফে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ৪র্থ ধাপে ভুমি ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তরের বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং হোয়াইক্যং পুলিশের অভিযানে মাদক মামলার ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী আটক কান্জরপাড়ায় জমির বিরোধ নিয়ে থানায় অভিযোগ দেয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত-১ হোয়াইক্যং কাটাখালীতে আলোর ছোঁয়া ফ্রেন্ডশিপ ক্লাবের উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি সম্পন্ন প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল স্থগিতঃ ১ মার্চ পুনরায় প্রকাশ করা হবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার ‘মাদকপ্রবণ অঞ্চল’ ঘোষণা করা হলে কী হতে পারে? পালংখালী ফারিয়ার পিকনিকে চট্টগ্রাম বিভাগ ফারিয়া সভাপতি আবু সুফিয়ান সংবর্ধিত

টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিক্ষোভ

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২ আগস্ট, ২০২১, ৯.৩৬ পিএম
  • ৫৫৯ বার পঠিত

রেশন কার্ড কেন্দ্র করে কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়ায় নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।

রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফ নয়াপাড়ার ক্যাম্পের শত শত রোহিঙ্গা নারী-পুরষ এ বিক্ষোভে অংশ নেন।

এ সময় তারা বিভিন্ন ক্যাম্পে বিক্ষোভ প্রদর্শন করার চেষ্টা করলে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা তাদের বাধা দেয় এবং শান্ত করার চেষ্টা করেন।

বিক্ষোভের বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার ১৬ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক এসপি তারিকুল ইসলাম বলেন, রেশন কার্ড নিয়ে জটিলতার কারণে পুরনো রোহিঙ্গাদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। তারা বারবার বিভিন্ন ক্যাম্পে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করছে। এপিবিএন তাদের বুঝিয়ে বিক্ষোভ না করার আহ্বান জানিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

টেকনাফের নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরের ক্যাম্প ইনচার্জ (ক্যাম্প-২৫ নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্প) মো. আব্দুল মান্নান বলেন, নিবন্ধিত ৩৭০০ পরিবার রেশন নেয়নি গত এক মাস। অনেকে আসতে চাইলেও বাকিরা বাধা দিচ্ছে। মূলত কার্ড নিয়ে তাদের আপত্তি রয়েছে।

ক্যাম্পের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রের দাবি, মূলত এসব রোহিঙ্গা ১৯৯২ সালে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসে। তার পর তাদের শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধন করে সরকার। এর পর নানাভাবে তাদের সহযোগিতা দিত বিভিন্ন সংস্থা বা সরকার। ২০১৩ সাল থেকে জাতিসংঘের ‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি’ তাদের খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসছে। তার জন্য ডব্লিউএফপির কর্মকর্তারা আলাদা করে তালিকা করে নিবন্ধিতদের।

কিন্তু চলতি জুলাই মাসের শুরু থেকে পুরনো রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তার কার্ড নিয়ে ফেলে সংস্থাটি। তার পর ২০১৭ সালে আসা নতুন রোহিঙ্গার সঙ্গে সংযুক্ত করে কার্ড বিতরণ করে। কিন্তু সে কার্ড নিয়ে আপত্তি জানিয়ে গেল এক মাস ধরে রেশন নিচ্ছে না ওই ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা।

রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভের পেছনে একটি চক্র উসকানি বলে দাবি করেছেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ শামসুদ্দৌজা। তিনি বলেন, ওদের ছোট একটা গ্রুপ আছে, যারা পেছনে ইন্ধন জোগাচ্ছে। দ্বন্দ্বটা লাগাচ্ছে। তাদের বের করার চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলে প্রশাসন শক্ত অবস্থানে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসে অন্তত সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। নতুন পুরনো মিলে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি শিবিরে। যার মধ্যে কুতুপালং ও টেকনাফের নয়াপাড়া ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা নিবন্ধিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

banglawebs999991
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Bangla Webs