বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১২ অপরাহ্ন
মিয়ানমার থেকে ইয়াবা নিয়ে সাগরপথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে সাড়ে ৪ লাখ ইয়াবা, সাড়ে ৯লাখ কিয়াতসহ (মিয়ানমারের মুদ্রা) মাদক পাচারকারী তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সদস্যরা।
টেকনাফের সেন্টমার্টিন ছেড়াদ্বীপের অদূরে বঙ্গোপসাগরে এ অভিযানে একটি ফিশিং ট্রলার জব্দ করা হয়েছে। সোমবার (৭ ডিসেম্বর) ভোরে এ অভিযান চালানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মিয়ানমারের আকিয়াবের অন ডাইং এলাকার বাসিন্দা মং সাদুর ছেলে এ থং সা (৬৭), একই গ্ৰামের স্যাং টোয়েং সার ছেলে মং চো অং(৫১) ও পেলিসং এলাকায় মোহাম্মদ ইদ্রিসের ছেলে মোহাম্মদ ইসাহাক (৪৮)।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আমিরুল হক।
তিনি বলেন, গত দুইদিন ধরে কোস্টগার্ডের কাছে তথ্য ছিল সেন্টমার্টিনের ছেড়াদিয়া এলাকায় সাগরপথে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ইয়াবার একটি বড় চালান পাচার হবে। তারই সূত্র ধরে, কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার (আমি) ও সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ডের স্টেশনের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রেদোয়ান উল ইসলামের নেতৃত্বে যৌথভাবে বিশেষ নজরদারি ও অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সোমবার ভোররাতে মিয়ানমার সীমানা থেকে ১টি কাঠের ট্রলার উদ্দেশ্যহীনভাবে সেন্টমার্টিনের ছেড়া দ্বীপ থেকে আনুমানিক ৫ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণে গভীর সাগরে বাংলাদেশ জলসীমানায় কোনো ধরনের সংকেত বাতি ছাড়াই আসতে দেখা যায়। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হলে কোষ্টগার্ড সদস্যরা নৌকাটিকে থামাতে সংকেত দেন এবং ধাওয়া করে।
ধাওয়ার এক পর্যায়ে আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে কোস্টগার্ড সদস্যরা ৩ জন মাঝিমাল্লাসহ ট্রলারটি আটক করতে সক্ষম হয়। পরে নৌকা তল্লাশির করে ৯ লাখ ৫১ হাজার কিয়াত (মিয়ানমারের মুদ্রা), ৩টি প্লাস্টিকের বস্তার প্যাকেটের ভেতর থেকে ৪ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, তারা প্রত্যেকেই স্থায়ীভাবে মিয়ানমারের নাগরিক এবং দীর্ঘদিন ধরেই তারা সাগর পথে এভাবে ইয়াবা পাচার করে আসছিলেন। কমান্ডার আমিরুল হক বলেন, গ্রেফতার তিনজনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট মাদক ও বৈদেশিক নাগরিক আইনে মামলা রুজু করে টেকনাফ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
Leave a Reply