শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন
রোহিঙ্গাদের এই দলটিকে প্রথমে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হবে। পরে সমুদ্র পথে জাহাজে করে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে তৃতীয়বারের মত ভাসানচরে উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে রোহিঙ্গাদের একটি বিশালদল। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টারদিকে উখিয়া ডিগ্রী কলেজ অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে এসব রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার ছাড়াও আগামীকাল (২৯ জানুয়ারি, শুক্রবার) ২ দিনে আরও সাড়ে ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া কথা রয়েছে। কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ থেকে ভাসানচরে এটি হচ্ছে তৃতীয় দফায় এবং বৃহৎ সংখ্যায় রোহিঙ্গা স্থানান্তর। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সি-লাইন সার্ভিসের ২০টি মিনিবাস ও মাল বহনকারী ১০টি ডাম্পার ট্রাকের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে প্রায় এক হাজার রোহিঙ্গাকে নিয়ে আসা হয়েছিল ট্রানজিট পয়েন্ট উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে। পরে দুপুরে তাদের ভাসানচরের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। এ বিষয়ে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনানের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ক্যাম্প ছেড়ে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরের পথে যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের এই দলটিকে প্রথমে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হবে। পরে সমুদ্র পথে জাহাজে করে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে। আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন) সূত্র জানায়, রোহিঙ্গাদের আজ চট্টগ্রামে নৌ-বাহিনীর তত্বাবধানে রাখা হবে। কাল শুক্রবার চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গার কর্ণফুলি নদী হয়ে নৌযানে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে। রোহিঙ্গা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, যেসব রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক তাদের ২০টি বাসযোগে বিভিন্ন আশ্রয় শিবির থেকে ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয় বুধবার বিকাল থেকে। সেখানে রোহিঙ্গারা আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রোহিঙ্গা শিবিরে কর্মরত কর্মকর্তাদের ব্যবস্থাপনায় ছিলেন। এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ভাসানচরে যান এক হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গা। গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম যাত্রায় এক হাজার ৬৪২ রোহিঙ্গা ভাসানচরে গেছেন। আগে মালয়েশিয়া যেতে গিয়ে সমুদ্র উপকূলে আটক আরও তিন শতাধিক রোহিঙ্গাকে সেখানে নিয়ে রাখা হয়েছিল। এদের মাধ্যমে উখিয়া-টেকনাফে অবস্থান করা রোহিঙ্গারা ভাসানচরের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হয়ে স্বেচ্ছায় সেখানে যেতে নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গারা #
Leave a Reply