বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১৩ অপরাহ্ন
ইউক্রেনে হামলা করায় রাশিয়ার ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো।
এবার নতুন করে রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ এ নিষেধাজ্ঞা গৃহীত হলে ২০২২ সালের শেষে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো আর রাশিয়ার তেল আমদানি করতে পারবে না।
এসব নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে যেন রাশিয়া অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে যায় এবং যুদ্ধ থামিয়ে দেয়৷
কিন্তু রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে কি এ যুদ্ধ থামবে?
যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রফেসর টাইলার কুস্ত্রা জানিয়েছেন, তেলের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি খুব বেশি কাজে দেবে না৷
এ ব্যাপারে প্রফেসর টাইলার কুস্ত্রা বলেন, তেলের নিষেধাজ্ঞা আরোপিত ও কার্যকর হবে আরও ৬ মাস পর। এরমধ্যে হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়া রাশিয়ার তেল কিনতে পারবে ২০২৩ সাল পর্যন্ত।
এর মাধ্যমে পুতিনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থাৎ রাশিয়ায় অর্থ ঢুকতেই থাকবে৷ ফলে পুতিন এ অর্থ ব্যবহার করে ব্যয়বহুল এ যুদ্ধ অব্যহত রাখতে পারবেন।
তিনি আরও বলেছেন, এ ছয় মাসের মধ্যে তেলের নতুন বাজার ধরার চেস্টা চালাবে রাশিয়া৷ বিশেষ করে এশিয়ায়৷ যেখানে এর ব্যাপক চাহিদা আছে৷
নটিংহ্যামশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের এ প্রফেসর আরও জানিয়েছেন, রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কোনো ইচ্ছাই ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর নেই৷
রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে তাদের শক্তিশালী রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে৷
প্রফেসর আরও জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন তেলসহ আরও নতুন যেসব নিষেধাজ্ঞার কথা বলছে সেগুলো আগের চেয়ে অনেক কঠোর৷
কিন্তু এসব নিষেধাজ্ঞা ১৯৪৫ সালের পর ইউরোপে তৈরি হওয়া সবচেয়ে বড় দ্বন্দ্ব বা অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে পারবে না৷
সূত্র: বিবিসি
Leave a Reply