উখিয়া উপজেলার ফালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী উত্তর জামতলীতে উম্মুল মোমেনীন হযরত আয়েশা ছিদ্দিকা (রা.) মহিলা মাদরাসার ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছে। অদ্য ১৪ মার্চ সোমবার দুপুরে টেকনাফ জামিয়া ইসলামিয়া টেকনাফের সাবেক শিক্ষক আল্লামা শাহ সুফি মোহাম্মদ শফি সাহেব হুজুর মহিলা মাদরাসার টিনশেড ভবনের ভিত্তি স্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে
থাইংখালীর ঐতিহ্যবাহী মাদরাসা দারুততাহহজীব এর প্রতিষ্টাতা পরিচালক হযরত মাওলানা আব্দুসসাত্তার,টেকনাফ প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি ও প্রবীণ সাংবাদিক আলহাজ্ব মুহাম্মদ তাহের নঈম, স্থানিয় সাবেক ইউপি সদস্য আব্দু শুক্কুর মেম্বার,
হাফেজ এজাহার,হাজী নুরু,হাজী মকবুল হোছন,হাফেজ খাইর হোছন,হাফেজ মুসলিম ,হাফেজ আব্দুল হাকিম,হাফেজ মাওলানা ফরিদ,হাফেজ মাওলানা ওসমান,হাফেজ এমদাদুল হক,আব্দুসসালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দারুততাহহজীব এর প্রতিষ্টাতা পরিচালক মাওলানা আব্দুসসাত্তার বলেন,
ইসলাম নারী শিক্ষার বিষয়ে সুষ্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে। ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর রয়েছে সমান শিক্ষার অধিকার। মূলত ইসলামে ঘোষিত হয়েছে শিক্ষা দীক্ষা পাওয়া শুধু নারীর অধিকারই নয় বরং তার ওপর ফরয। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক নর নারীর উপর আবশ্যক”।
সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াআল্লাহু আনহুম আজমায়ীন তাদের কন্যাদের শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এর এক প্রকৃষ্ট উদাহরন হলেন উম্মুল মুমিনীন হযরত আইশা সিদ্দীকা (রা)। যিনি আরবি সাহিত্যে যেমন পারদর্শী ছিলেন তেমনি চিকিৎসা শাস্ত্রেও হয়ে উঠেছিলেন সমান পারদর্শী। হযরত আইশা সিদ্দীকা (রা) গণিত শাস্ত্রে এতখানি পারদর্শী ছিলেন যে, হযরত ওমর (রা) এর মত জালীলুল কদর সাহাবী তাঁর কাছ থেকে মিরাসের মাসয়ালা ও হিসাব জেনে নিতেন। এছাড়া যুক্তিবিদ্যায়ও তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। ফিক্হ শাস্ত্রে ও অর্জন করেছিলেন সুগভীর পান্ডিত্য ইতিহাস পর্যালোচনা করলে জানা যায় যে, তৎকালীন নারী সমাজ লেখার নিয়মকানুন সম্পর্কে এতখানি ওয়াকিবহাল ছিলেন যে গুরুত্বপূর্ণ পত্রাবলি ও বিভিন্ন মাসয়ালা মাসায়েল লিখে রাখতে তাদের কোনো অসুবিধা হতো না। বর্তমান ফিতনার যোগে মহিলাদের ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত হিসাবে গড়ে তুলা না হলে আদর্শ সন্তান,আদর্শ সমাজ গঠন কখনো সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য যে,উত্তর জামতলীতে ২০২০ সালে
হযরত আয়েশা ছিদ্দিকা (রা.) মহিলা হিফজ খানা প্রতিষ্টান করেন একই এলাকার মাওলানা মো: সেলিম। এক বছরের মাথায় ৫ জন হাফেজা পবিত্র কোরআন শরিফ হিফজ সম্পন্ন করে। আসন্ন মাহে রমজানে তারা সফিনা শুনাবেন বলে জানান মাদরাসার পরিচালক মাওলানা সেলিম।#