মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার দাবীতে কক্সবাজার শহরে ইসলামী আন্দোলনের স্বাগত মিছিল কক্সবাজারে হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক ৩৬০০পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার-১ ইসলামী আন্দোলনের টেকনাফ উপজেলার উত্তর শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত টেকনাফে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ৪র্থ ধাপে ভুমি ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তরের বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং হোয়াইক্যং পুলিশের অভিযানে মাদক মামলার ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী আটক কান্জরপাড়ায় জমির বিরোধ নিয়ে থানায় অভিযোগ দেয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত-১ হোয়াইক্যং কাটাখালীতে আলোর ছোঁয়া ফ্রেন্ডশিপ ক্লাবের উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি সম্পন্ন প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল স্থগিতঃ ১ মার্চ পুনরায় প্রকাশ করা হবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার ‘মাদকপ্রবণ অঞ্চল’ ঘোষণা করা হলে কী হতে পারে? পালংখালী ফারিয়ার পিকনিকে চট্টগ্রাম বিভাগ ফারিয়া সভাপতি আবু সুফিয়ান সংবর্ধিত

দেশের মানুষ যাতে আর বিচারহীনতার সংস্কৃতির শিকার না হয় সেজন্য সতর্ক থাকুন : প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২, ৯.৩৮ পিএম
  • ৯৪ বার পঠিত

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশে ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি’ চালু হয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা যেন আবার ফিরে আসতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে আবারো যেন দায়মুক্তির সংস্কৃতি আসতে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমার মতো আর কেউ যেন মা-বাবা, ভাইদের হারিয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতির শিকার না হয়।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার বিকেলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি চাই, আমাদের মতো কেউ যেন আর বিচারহীনতার (ইনডেমনিটি) কষ্ট না পায়, বাবা-মা-ভাই মারা গেল তার বিচার চাইতে পারবো না আবার তাদেরকেই গণতন্ত্রের ধারক ও বাহক বলা হয় এটা সত্যিই দেশের জন্য, জাতির জন্য, স্বাধীনতার জন্য, একটা স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। এরকম অবস্থায় যেন বাংলাদেশ আর কোনোদিন না পড়ে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা সারাটা জীবন এদেশের মানুষের জন্য এত ত্যাগ শিকার করলেন তাকে হত্যা করে প্রকৃতপক্ষে এদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং আদর্শকেই হত্যা করা হয়েছিল। আর এই হত্যাকারীদের বিচার যাতে না হয় সেজন্য ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়। আর এর মাধ্যমে খুনিদের বিচারের হাত থেকে শুধু যে মুক্তি দিয়েছিল তাই নয়, বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে খুনীদের পুরস্কৃতও করে। বাংলাদেশে শুরু হয় বিচারহীনতার এক কালচার।

অথচ জাতির পিতা সব সময় চেয়েছেন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে। কিন্তু, কি দুর্ভাগ্য আমাদের তার হত্যাকারীদের বিচার যেন না হয় দেশে সে ধরণের আইনও প্রণয়ন করা হয়েছিল,’ বলেন তিনি।

একুশ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে এই ইনডেমনিটি আইন বাতিলের উদ্যোগ নেয় এবং এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ অবারিত হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি ধন্যবাদ জানাই সুপ্রিম কোর্টকে, কারণ, এই অর্ডিন্যান্স যাতে বাতিল না হয় সেজন্য আমাদের বিরোধী পক্ষ সবসময় সক্রিয় ছিল। কাজেই কোর্টে যখন এটা আসে সুপ্রিম কোর্ট তাদের রায়ে এটা বাতিল করার নির্দেশ দেয় এবং পার্লামেন্টে আমরা তা বাতিল করি।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

banglawebs999991
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Bangla Webs