মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৯ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
টেকনাফে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা কমিটি সংবর্ধিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হ্নীলা পল্লী বিদ্যুতের অভিযোগ কেন্দ্র: অনিয়ম-দুর্নীতি উৎকোচ গ্রহণের আখড়া টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে চাকমা সম্প্রদায়ের জমি জবর দখল: সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা কারামুক্ত হয়ে মা বাবা’র কাছে ফিরলেন মজলুম ছাত্রনেতা শাহনেওয়াজ টেকনাফ থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে ১৩৮০ পিস ইয়াবা সহ গ্রেফতার-১ হোয়াইক্যং এর মিনাবাজারে টমটম গ্যারেজে আগুন: চনের গুদাম ও নোহাগাড়ী পুড়ে ছাই ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে প্রথম ধাপে ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার বিনা খরচে মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশিদের পড়ার সুবর্ণ সুযোগ টেকনাফের খারাংখালীতে ভাসুরের হাতে গৃহবধূ খুন
নাগরনো-কারাবাখে আবারো যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করল আর্মেনিয়া

নাগরনো-কারাবাখে আবারো যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করল আর্মেনিয়া

যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে নাগরনো-কারাবাখে রোববার এক আজারবাইজানি সৈন্যকে হত্যা করেছে আর্মেনিয়ান বাহিনী। সোমবার আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এক টুইট বার্তায় মন্ত্রণালয় জানায়, এই হামলায় আজারবাইজান সেনাবাহিনীতে দায়িত্বরত সৈনিক গানব্যারভ এলমির রায়িল নিহত হয়, আহত হন সৈনিক আলিয়েভ এমিন সুলেইমান। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী পাল্টা আক্রমণ করে ছয় হামলাকারীকেই নির্মূল করে দেয়,’ টুইটারে জানায় মন্ত্রণালয়টি।

এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে আজারবাইজান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ‘কঠিন পদক্ষেপ’ নেয়ার হুঁশিয়ারি দেয় মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এর আগে ১৩ ডিসেম্বর আর্মেনিয়ান সেনাবাহিনী প্রথমবার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে খোজাভেন্দ শহরের সুর গ্রামে তিনজন আজারবাইজানি সৈন্যকে এবং হাদরুত শহরে একজন বেসামরিক লোককে হত্যা করে।

নাগর্নো-কারাবাখ সংঘাত
প্রাক্তন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র দু’টির মধ্যকার সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ ছিল ১৯৯১ সাল থেকেই, যখন আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী আজারবাইজানের অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃত নাগর্নো-কারাবাখসহ পার্শ্ববর্তী সাতটি অঞ্চল দখল করে নেয়।

এ বছর ২৭ সেপ্টেম্বর নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হলে আর্মেনিয়ান সেনাবাহিনী বেসামরিক জনগণ ও আজারবাইজানি বাহিনীর উপর নির্বিচারে হামলা চালায় এবং বেশকিছু মানবিক যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে।

প্রায় ছয় সপ্তাহ ধরে চলা এই যুদ্ধে আর্মেনিয়ার কাছ থেকে বেশ কয়েকটি কৌশলগত শহর, প্রায় ৩০০ জনবসতি ও গ্রাম দখলমুক্ত করে আজারবাইজান।
যুদ্ধ বন্ধ করতে ও দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের উদ্দেশে দেশ দু’টি রাশিয়ার মধ্যস্থতায় ১০ নভেম্বর একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।

রাশিয়ার মধ্যস্থতায় সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি আজারবাইজানের জয় ও আর্মেনিয়ার পরাজয় হিসেবে মনে করা হয়। চুক্তিটির ফলে আর্মেনিয়াকে নাগর্নো-কারাবাখ থেকে তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে সরিয়ে ফেলতে হচ্ছে।

এ যুদ্ধে শোচনীয় পরাজয়ের দায়ভার স্বীকার করেছেন আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান। সবমিলিয়ে তার পদত্যাগের দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ করছে বিরোধী দলগুলো।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design By Bangla Webs