শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২১ পূর্বাহ্ন
নয়াবাজারের পশ্চিম সাতঘরিয়াপাড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় ১নারী আহত: ঘটনা ধামাচাপা দিতে পাল্টা অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াবাজার পশ্চিম সাতঘরিয়া পাড়ায় শিশুদের খেলনা কে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় রাশেদা বেগম নামক এক মহিলা গুরুতর আহত হয়েছে। আহত রাশেদা বিষয়টি নারী ও শিশু নির্যাতন সহায়তা কেন্দ্র”টেকনা ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেল(ওসিসি)র সহযোগিতা কামনা করলে এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানায় ওসিসি একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। থানা পুলিশ বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে হোয়াইক্যং পুলিশের আইসির নিকট প্রেরণ করে।
ঘটনাটি ঘটেছে ১৭ আগষ্ট(১৭.০৮.২০২২) নয়াবাজার পশ্চিম সাতঘরিয়া পাড়া নামক গ্রামে। অভিযোগ হাতে পেয়ে হোয়াইক্যং পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর মুজিবুররহমানের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে প্রত্যক্ষদর্শিরা জানায়, রাশেদা বেগমের ৩,৫ বছরের দুই শিশু অন্য শিশুদের সাথে প্রতিদিনের ন্যায় খেলা করছিল। উক্ত শিশুরা পরস্পরের মধ্যে হাতাহাতি করে। শিশুর মা রাশেদা বেগম বিষয়টি মীমাংসা করতে ঘটনাস্থলে গেলে প্রতিপক্ষ ফরিদুল আলম সাইফুল ইসলাম ওরফে সুমাইয়া, মিনারা বেগম, ববর্মাইয়্যা ফাতেমা, ফারজানা ও ফরিদুল আলমের মা সংঘবদ্ধভাবে রাশেদা বেগমের উপর আক্রমণ চালায়। এতে তাদের এলোপাতাড়ি আক্রমনে রাশেদা বেগম গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটেপড়ে। তার আত্মীয়-স্বজন পড়ে কটনাস্থলে এসে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হামলার বিষয়টি জানতে পারে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ টেকনাফ ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেল। বিষয়টি আমলে নিতে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ বরাবর লিখিত আবেদন পেশ করেন।
টেকনাফ থানা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত-পূর্বক আইনি ব্যবস্থা নিতে হয় পুলিশের আইসি বরাবর প্রেরণ করেন অভিযুক্তি হাতে পেয়ে হয় পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর মুজিবুর রহমান ঘটনাস্থলে যান আহতদের অভিযোগ অভিযোগের বিষয় তদন্ত করতে গিয়ে প্রতিপক্ষ আমাদের বাড়ি ঘরে আক্রমণ ও লুটপাট চালায়। একই বাড়িতে অভিযুক্ত ফরিদুল আলমের মেয়ের একটি সংসার রয়েছে। ফরিদুল আলম ফারুকের শ্বশুর। ফারুকের ভাবি সহ আত্মীয়-স্বজনকে হয়রানি করার মানুষে ফরিদুল আলমের মেয়ে তথা ফারুকের স্ত্রীকে মারধর করেছে মর্মে একটি ভুঁয়া অভিযোগ আনে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল বা ফাঁসাতে ফুরিদুল আলম গং এই মিথ্যা আশ্রয় নেয়। ফারুক প্রতিবেদককে জানাই আমার শশুর এবং তার অন্যান্য সহযোগীরা আমার বাড়িতে অনুপ্রবেশ করে ৩ লাখ নগদ টাকা ৫ ভরি স্বর্ণ পয়ার ভাঙচুর করে নিয়ে যায়। তারা মারধর ও লুটপাট করার ঘটনা ধামাচাপা দিতে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে। বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ফারুক। এ বিষয়ে হোয়াই কম পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর মজিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি সমাধান করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান। তবে তিনি স্বর্ণ বা টাকা লুটপাটের বিষয়টি অস্বীকার করেন।#
Leave a Reply