রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৮ পূর্বাহ্ন
পরিবারের কেউ জানেনা তিনি কোথায় আছেন?পটিয়া বড় মাদরাসায় সন্ত্রাসী হামলা, মহাপরিচালক ওবায়দুল্লাহ হামজা অপহৃত!
নিজস্ব প্রতিবেদক ::দেশের বৃহত্তম কাওমী মাদরাসা পটিয়া আল জামেয়া ইসলামিয়ার মহাপরিচালক আন্তর্জাতিক ইসলামিক স্কলার আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামজাকে গত রাতে একদল সন্ত্রাসী অপহরণ করেছে বলে জানা গেছে।
শতাধিক বহিরাগত সন্ত্রাসী লাঠি ছোটা নিয়ে রাত ১২টায় মাদ্রাসায় প্রবেশ করে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। তারা ছাত্রাবাসের বিভিন্ন রুমে ঢুকে ছাত্রদের জোর করে বের করে নিয়ে মহাপরিচালক আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামজার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে বাধ্য করে।
সন্ত্রাসীরা এক পর্যায়ে মহাপরিচালকের দপ্তর ভাঙচুর করে কম্পিউটার ল্যাপটপ এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এর পর সন্ত্রাসীরা মহাপরিচালকের বাসার দরজা ভেঙে বাসায় ঢুকে তাঁর শিশু সন্তানকে জিম্মি করে পিএসকে মারধর করে। ওবায়দুল্লাহ হামজাকে জোর করে ধরে নিয়ে রাতের আধারে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।
এ সময় জোর করে কিছু কাগজপত্রে তার স্বাক্ষর নেয়া হয় বলেও জানা গেছে। মহাপরিচালক আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামজার স্বজনের জানান, তিনি কোথায় আছেন এবং কিভাবে আছেন তারা জানেনা। এতে করে তাঁর পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য এই প্রতিবেদক আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামজার 01746-545556 এই নং এ একাধিকবার
কল দিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামজা পটিয়া মাদ্রাসার মহাপরিচালক নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে একটি গ্রুপ তাকে মেনে নিতে পারছিলেন না। এর পরেও তিনি মাদ্রাসার সম্পদ,পড়ালেখার সুনাম ধরে রাখার বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ায় ওই গ্রুপটি তার বিরুদ্ধে প্রচন্ডভাবে খেপে গেছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, ওই গ্রুপের সহযোগিতায় সন্ত্রাসীরা গতকাল রাতে এই তাণ্ডব চালিয়েছে।
এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ সকাল সন্ধ্যায় জরুরী শরুরার বৈঠক বসবে বলে জানা গেছে।
এদিকে চট্টগ্রাম কক্সবাজার টেকনাফ সহ দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম ও পটিয়া মাদ্রাসার ফারেগিন ওলামারা জানান, রাতের আঁধারে মাদ্রাসায় তাণ্ডব চালিয়ে মাদ্রাসার মুহতামিম কে জোরপূর্বক অপসারণ করার পর দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তাদের মতে মজলিসে শুরার সিদ্ধান্ত ছাড়া একজন মুহতামিমকে কতিপয় ফিতনা ফাসাদের ইন্ধন দাতা শিক্ষক ও বিপথগামী বেয়াদব ছাত্ররা যদি অপসারণ করতে পারে তাহলে মজলিসে শুরার কাজইবা কি? শুরার সিদ্ধান্ত ছাড়া এধরণের কাজ ক্ষমার অযোগ্য, শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
Leave a Reply