বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৬ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজারের ‘মনু নদীর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন কাশিমপুর পাম্প হাউস পুনর্বাসন’ প্রকল্পে পাম্প কেনায় ৩৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের একটি মামলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. আবু তালেবকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
আজ রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ তিন সপ্তাহের মধ্যে তাকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। তিনি বলেন, মামলায় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু তালেব আজ হাইকোর্টে হাজির হয়ে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন। আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে তিন সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়।
আজ আদালতে শুনানিতে আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন মিনহাজুজ্জামান লিটন। দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন যথাক্রমে এ কে এম ফজলুল হক এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা।
আলোচিত প্রকল্পের পাম্প কেনায় ৩৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা ক্ষতি করার অভিযোগে গত ২১ অক্টোবর হবিগঞ্জে মামলা করে দুদক। মামলায় পাউবোর প্রধান প্রকৌশলী চৌধুরী নজমুল আলম, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিগমা ইঞ্জিনিয়ারস লিমিটেডের এমডি প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, চেয়ারম্যান প্রকৌশলী সৈয়দ আরশেদ রেজা এবং জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী আব্দুস সালামসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রকৃত দামের চেয়ে বেশি দামে পাম্প কিনেছেন। দুদক অনুসন্ধানে ৮টি পাম্পের প্রকৃত মূল্য পাওয়া যায় ২০ কোটি ৪১ লাখ টাকা। অথচ বিল হিসেবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সরকার থেকে নিয়েছে ৫৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে কাশিমপুর পাম্প হাউস পুনর্বাসন প্রকল্পের জন্য প্রকৃত দামের চেয়ে বেশি দামে পাম্প কিনেছেন।
সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাটের ঘটনায় দুদকের করা মামলায় বলা হয়, আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে রাষ্ট্রীয় অর্থ লোপাট করে তারা দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
Leave a Reply