বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:০৭ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
টেকনাফে অস্ত্র দিয়ে যুবককে ফাঁসানোর প্রতিবাদে রাস্তায় নামলেন ছাত্র-জনতা পুলিশে ৩৬০০ কনস্টেবল নিয়োগ, আবেদন ফি ৪০ টাকা শিক্ষা কমিশনে নাস্তিকদের সরিয়ে ইসলামি শিক্ষাবিদ ও আলেমদেরকে দিতে হবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৫৮১ জন শহীদ হয়েছে : স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ কমিটি মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন আরও ৮৫ বাংলাদেশি বিদ্রোহীদের দখলে মিয়ানমারের বড় এলাকা, ক্ষমতাচ্যুতের পথে জান্তা? টেকনাফ কে সন্ত্রাস মুক্ত শান্তির শহর বানাবো- শাহজাহান চৌধুরী কোস্ট ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত হোয়াইক্যং আলিয়া আছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নারী ফুটবল প্রীতি ম্যাচ সম্পন্ন সেনাবাহিনীর হাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব: ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা যা যা করতে পারবেন এখন স্বাধীন দেশে বসবাস করছি: আগে স্বাধীন ছিলাম না : পীর সাহেব চরমোনাই
পুনরুদ্ধার করা ভূমিতে ফিরছে আজারবাইজানীরা

পুনরুদ্ধার করা ভূমিতে ফিরছে আজারবাইজানীরা

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট :

দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান হতে চলেছে। সেই সঙ্গে সমাপ্তি ঘটছে নিজ ভূমিতে ফেরার আজেরিদের ২৮ বছরের অপেক্ষার প্রহর।

বিতর্কিত অঞ্চল নাগার্নো-কারাবাগ নিয়ে চলা যুদ্ধে আর্মেনিয়ার দখল থেকে কারাবাখের দ্বিতীয় বৃহত্ততম শহর মুক্ত করেছে আজারবাইজানি সেনাবাহিনী।

১০নভেম্বর রাশিয়ার সঙ্গে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের শান্তি চুক্তি হয়। এরপরই নিজেদের ভূমিতে বাকুর নাগরিকদের ফিরতে সময়ের ব্যাপার বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।

তুর্কি সংবাদ মাধ্যম ইয়েনি শাফাক জানিয়েছে, আপার কারাবাখের শুশা শহরটি ভৌগলিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের স্বীকৃত হলেও এর রক্তাক্ত ইতিহাস রয়েছে।

১৯৯২ সালে নাগোরনো-কারাবাখ যুদ্ধে হাজার হাজার আজারবাইজানি তাদের বসিত হারিয়েছিল। সে সময় জাতিগত আর্মেনীয়রা শুশা শহরটি দখল করে নেয়। যদিও চুক্তির পর আর্মেনীয়রা এই শহরটি ছেড়ে যাচ্ছে। তবে যাওয়ার আগে তাদের বসতিতে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে; যাতে আজারবাইজানিরা আগের বাসস্থান ব্যবহার করতে না পারে।

হ্যামলেট মেহেরেমোভ ১৯৯২ সালে শুশা শহরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তার স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে পালিয়ে যান। এখন তার নাতি-নাতনি নিয়ে তার পারিবারিক বাসস্থানে ফিরতে সময়ের ব্যাপার বলে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমার কাছে, শুশা আজারবাইজানের। তার স্ত্রী সুগায়েত মেদেতোবা বলেন, তিনি কখনোই ফিরে যাওয়ার আশা ছাড়েননি। আমি এমন মুহূর্ত আমার স্বপ্নে বহুবার দেখেছি।

গত কয়েক সপ্তাহের যুদ্ধে আর্মেনীয়ার দখল থেকে প্রায় ৩০০টি বসটি ও গ্রাম মুক্ত করেছে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে নতুন করে সংঘাত শুরু হয়। এর আগে ৯০ এর দশকে সাবেক দুই সোভিয়েত ইউনিয়নের দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল। নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে ছয় সপ্তাহের বেশি চলা যুদ্ধ বন্ধে ১০ নভেম্বর আর্মেনিয়া, আজারবাইজান ও রাশিয়ার মধ্যে চুক্তি হয়। চুক্তির অনুযায়ী নাগোরনো-কারাবাখ ও আর্মেনিয়া-আজারবাইজান করিডোরে দায়িত্ব পালন করবে রাশিয়ান শান্তিরক্ষীরা।

মোট ১৯৬০ রাশিয়ান শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা হবে বিরোধীয় অঞ্চলটিতে। পাঁচ বছর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন তারা। এদিকে আজারবাইজানের ভূখণ্ড কারাবাখে নিজেদের সেনা মোতায়েনে মঙ্গলবার পার্লামেন্টে মোসন উত্থাপন করছে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সরকার। এদিন সংসদে ভোটাভুটিতে পাস হলে এক বছরের জন্য তুর্কি শান্তিরক্ষী মোতায়েন হবে কারাবাখে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design By Rana