বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৫৬ অপরাহ্ন
দৃশ্যপট:হোয়াইক্যং ইউপির নয়াবাজার প্রতিপক্ষ কে ফাঁসাতে রাতের অন্ধকারে পরিকল্পিত ভাবে দোকান-পাট ভাংচুরের ঘটনা
সাজিয়ে হয়রানীর পাঁয়তারা!
নিজস্ব প্রতিবেদক:: জমি নিয়ে বিরোধের জেরধরে প্রতিপক্ষ কে ফাঁসাতে রাতের অন্ধকারে পরিকল্পিত ভাবে দোকান-পাট ভাংচুরের ঘটনা
সাজিয়ে হয়রানীর পাঁয়তারা করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। উক্ত ঘটনা সাজানো নাটক বলে দাবী করেছেন ছৈয়দ হোছাইনের পরিবার।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ১১ নভেম্বর গভীররাতে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউপির নয়াবাজার ষ্টেশনে।
জানা যায়, নয়াবাজারের মৃত হাজী সোলাইমানের পুত্র ছৈয়দ হোছন সেলিমের বাড়ির সামনে আরকান সড়কের সাথে লাগোয়া তার মালিকানাধীন সেমিপাকা একটি মার্কেট রয়েছে। এতে হাফেজ নুর হোছাইন নামক তার বড়ভাই ভাড়াটিয়া হিসাবে চুক্তিনামা মূলে একটি দোকান ভাড়া নেয়। চুক্তির মেয়াদ শেষে বের হবার কথা বললে নানা প্রকার গড়িমসি করে। উক্ত বিষয়ে স্থানিয় আওয়ামীলীগ নেতা হারুন সিকদার,হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ি,সর্বশেষ টেকনাফ থানা পুলিশ কে ও অবহিত করে দোকানের মালিক ছৈয়দ হোছাইন। স্থানিয় বিচারে আপোষ মিমাংসার না হওয়ায় এক পর্যায়ে দোকান তালাবদ্ধ করে রাখে মালিকপক্ষ। আবার প্রতিপক্ষ ভাড়ায় থাকা হাফেজ নুর হোছাইন গং নিজেদের মালিকানা জমি দাবী করে তালা ভেঙ্গে ফেলে। এর পর বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশের কাছে নুর হোছাইন গংদের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন ছৈয়দ হোছাইন। পুলিশ বিরোধ নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দোকান বন্ধ রাখতে বলে এবং জমি পরিমাপের উপর উভয়পক্ষ কে একমত হওয়ার অনুরোধ করেন। তাতে ও সায় না দিয়ে নুর হোছাইন ও তার পুত্ররা দোকানের তালা ভেঙ্গে তান্ডব সৃষ্টি করে। এর পর
টেকনাফ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নুর হোছাইন কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ নুর হোছাইন কে থানায় নিয়ে গেলে তার পুত্র স্বজন লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে ৩১/০৩/২০২১ ছৈয়দ হোছাইনের বাড়িতে আক্রমন করে। যা থানা পুলিশ সরেজমিনে পরিদর্শণ করেছেন বলে জানান ভুক্তভোগি পরিবার।
ছৈয়দ হোছাইন প্রতিবেদক কে জানায়, টেকনাফ সাবরেজিষ্ট্রি অফিসের সাফ-কবলায় যথাক্রমে দলিল নং-১৬৯/৬৭৭/৩০৮২/১২৩৪/২০৪৪/১৬১১/২০৮৫৬ পৃথক পৃথক দলিলমূলে ৭০ শতক জমি খরিদ করে। তম্মধ্যে প্রতিপক্ষের দাবীকৃত বিএস দাগ-৯৬১৯ ছৈয়দ হোছাইনের খরিদা। যার সৃজিত খতিয়ান-২৯৬৫ চুড়ান্ত প্রচার আছে। স্বত্ব বিশ্লেষনে দেখা যায়,ছৈয়দ হোছাইন দোকানের প্রকৃত মালিক। এখন ভাড়াটিয়া( চুক্তিপত্র মূলে থাকা ব্যাক্তি) হাফেজ নুর হোছাইন নিজেই মালিক দাবী করা ততটুকু যুক্তি সঙ্গত এমন প্রশ্ন এলাকাবাসী কে করা হলে স্থানিয় মেম্বার সহ এলাকাবাসী জানায়, নুর হোছাইন মালিকানা দাবী করলে সে চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করে দোকান ভাড়ায় কেন নিয়েছে?
স্থানিয় হোয়াইক্যং ইউপির আওয়ামীলীগ নেতা হারুন সিকদার জানায়,আমি মিমাংসার চেষ্টা করেছিলাম।নুর হোছাইন গং বিচার শালিস কিছুই মানেনা।
এলাবাসীর মতে ছৈয়দ হোছাইনের সম্পদের প্রতি লোভের বশিভূত হয়ে তার সাথে অন্যায় আচরণ করছে। সাম্প্রতিক কালে ২ সহোদর ছৈয়দ হোছাইন ও নুর হোছাইনের মধ্যখানে এলাকার কিছু অসাধু ব্যাক্তি তালগোল পাকাচ্ছে।
এদিকে ১২ নভেম্বর দিবাগত রাত ২টারদিকে নয়াবাজারের ছৈয়দ হোসেন ও ভাড়ায় থাকা হাফেজ নুরুল হোছাইনের মধ্যে রুমা ফার্মেসী র দোকানের জমি নিয়ে বিরোধ কে কেন্দ্র করে সৃষ্ট উত্তেজনা, পরস্পর বিরোধী বক্তব্য এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ছৈয়দ হোছাইন জানায়, তারা আমার মার্কেটের উক্ত দোকান জবরদখল করতে অবশেষে ভাংচুরের নামে নাটক সাজিয়েছে! উক্ত সাজানো নাটকে আমাকে ফাঁসাতে বহুমুখী ষড়যন্ত্র করছে। আমি চিকিৎসার কাজে কক্সবাজারে ছিলাম ১১/১১/২১ ইং তারিখ। ডাক্তারের চিকিৎসাপত্র,হোটেলের রশিদ আমার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
কিন্ত অপপ্রচার চালাচ্ছে আমিই ভাংচুর করেছি!
তার প্রতিপক্ষ হাফেজ নুর হোছাইন জানান, সেখানে আমার জমি রয়েছে। আমার দোকানে হামলা ও ভাংচুরকারী ছৈয়দ হোছাইনের বিচার চাই।
এদিকে নয়াবাজারের ঘটনার জন্য টেকনাফ পৌর সচিব ছৈয়দ হোসেন গংকে আসামী করে ফার্মেসীর মালিক হাফেজ নুর হোসেন গং থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে বিকালে টেকনাফ মডেল থানার এসআই মহি উদ্দিন ও বুলবুল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে আবারো বাক-বিতন্ডা হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে উভয় পক্ষ কে বিষয়টি মিমাংসার অনুরোধ করেন।
Leave a Reply