বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২১ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
এখন স্বাধীন দেশে বসবাস করছি: আগে স্বাধীন ছিলাম না : পীর সাহেব চরমোনাই সতর্ক থাকার আহবান :সেপ্টেম্বরে বাড়তে পারে ডেঙ্গুর প্রকোপ এবার ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’ এখনও অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সুযোগ পেলে আঘাত করবে: মীর্জা ফখরুল হোয়াইক্যং ইউনিয়ন উত্তর শাখা ১০ নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত টেকনাফের মাফিয়া ডন বদি গ্রেপ্তার অতিরিক্ত বিমান ভাড়ার নেপথ্যে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাব সভাপতি তসলিম সিন্ডিকেট যুদ্ধবিরতি হলে ইসরায়েলে হামলা করবে না ইরান ১২ দেশের মুদ্রা নিয়ে পালানোর সময় সাবেক ২ মন্ত্রী আটক:১০ দিনের রিমান্ডে বাংলাদেশে সামরিক পদক্ষেপ নিতে মোদির প্রতি আহ্বান কংগ্রেস বিধায়কের
বুধবার থেকে ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ

বুধবার থেকে ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ

মা-ইলিশ রক্ষায় বুধবার (১৪ অক্টোবর) থেকে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরা, বিক্রি, মজুত ও পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

সোমবার সচিবালয়ে ‘মা-ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২০’ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এ তথ্য জানান।

মা-ইলিশ রক্ষায় ইলিশের বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনা নিয়ে আশ্বিন মাসের পূর্ণিমাকে ভিত্তি ধরে মৎস্য সংরক্ষণ আইন সংশোধন করে নিষেধাজ্ঞার এ সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের টহলের পাশাপাশি অত্যাধুনিক উপায়ে মনিটর করা হবে যেন কোনো নৌকা বা জাহাজ ইলিশ ধরতে না পারে। এমনকি বিদেশ থেকে কোনো মাছ ধরার যান্ত্রিক নৌযান আসলে সেটাকেও আইনানুগ প্রক্রিয়ায় আটক করা হবে। ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বরফকল খুলতে দেয়া হবে না।’

ইলিশের প্রাচুর্য, স্বাদ ও সহজলভ্যতার বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনতে চান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর বিশ্বে উৎপাদিত মোট ইলিশের ৮০ ভাগের বেশি বাংলাদেশে উৎপাদন হয়েছে। ইলিশের আকার ও স্বাদ অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক ভালো। ইলিশ একটা সময় দুষ্প্রাপ্য হয়ে যাচ্ছিল, সেই ইলিশ এখন সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে যাচ্ছে। এর অন্যতম কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং আওতাধীন বিভিন্ন দফতর-সংস্থা, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, মাঠ প্রশাসন সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’

‘৩৬ জেলার ১৫২ উপজেলায় আমাদের কর্মসূচি থাকবে। যারা ইলিশ আহরণ বা বিক্রয় করতে পারবেন না, তাদের আমরা পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা দিচ্ছি। যাতে মৎস্যজীবী, মৎস্য আহরণকারী বা এ প্রক্রিয়ায় জড়িতে একজন মানুষও খাবারের সংকটে না থাকে।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা চাই ইলিশ এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছবে যাতে সব মানুষ ইলিশ খেতে পারে। ভবিষ্যতে পর্যাপ্ত ইলিশ উৎপাদন হওয়ার পর আমরা বাণিজ্যিকভাবে রপ্তানির চিন্তা করব। এই মুহূর্তে বাণিজ্যিকভাবে ইলিশ রপ্তানির কথা আমরা ভাবছি না। আশা করি অদূর ভবিষ্যতে আমাদের ইলিশের উৎপাদন ও সফলতা এমন জায়গায় পৌঁছে যাবে যেদিন ইলিশ রপ্তানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে আমরা সক্ষম হব।’

সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ মো. ইমদাদুল হক, সুবোল বোস মনি ও শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ ও বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design By Rana