আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার রহস্য জানতে চায় এলাকাবাসী বৈধ কোন আয়ের উৎস না থাকলেও অঢেল সম্পদের মালিক মিনাবাজারের রমজান আলী
নিজস্ব প্রতিবেদক: টেকনাফ উপজেলার ১নং হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মিনা বাজারের বাসিন্দা রমজান আলী পেশা বলতে তেমন কিছুই নেই তার। এক সময় ছেঁড়া লুঙ্গি আর শার্ট পরে চলাচল করতো, অথচ বর্তমানে মাদকের উসিলায় কয়েক কোটি কোটি টাকার মালিক তিনি। বৈধ আয়ের কোন রাস্তা নেই। তবুও অঢেল সম্পদের পাহাড় গড়েছে মিনাবাজারের রমজান আলী প্রকাশ শিয়াল রমজান। দৃশ্যত আয়ের উৎস বলতে কিছুই নেই। তবু তার দিন দিন গড়ে উঠছে বিপুল অর্থ-সম্পদের পাহাড়। এসব আয় কোথায় হতে বা তার আয়ের উৎস কী ? তার কিছুই জানা নেই এলাকাবাসীর। এসব ঘিরে ঝিমংখালীর এ রমজান আলীকে নিয়ে ঝিমংখালী,মিনাবাজার সহ পুরো হোয়াইক্যং ইউনিয়নে চলছে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রমজান আলী আলাদিনের চেরাগ নিয়ে এলাকায় এখন নানা জনের নানা প্রশ্ন। এ নিয়ে বেরিয়ে আসছে নানা রহস্য। পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন অভিযোগ । এলাকার লোকজনের প্রশ্ন- রমজান আলীর অতীত ও বর্তমানে বৈধ ব্যবসা প্রতিষ্টান বা কানো চাকরি ছিলনা । আর তার উপযুক্ত কোনো ছেলেও বিদেশে নেই। রাতারাতি প্রায় অর্ধকোটি টাকা দিয়ে জমি ক্রয় করে কীভাবে বিশাল ভাড়াটিয়া ঘর,মার্কেট নির্মাণ করলো ? ৬০ লাখ টাকায় পাঁচতলা ফাউন্ডেশন দিয়ে নির্মাণ করছেন পাকাবাড়ি। ইতোমধ্যে এক তলার কাজ প্রায় শেষ। অপরদিকে মিনাবাজারের টেইলা পাড়ায় ও তার ৬ রুম বিশিষ্ট কোটি টাকার ভবন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এ ছাড়া চট্রগামে ফ্লাটবাড়ী, রঙ্গিখালীতে কয়েক একর জমি সহ স্থাবর অস্থাবর নামে বেনামে অনেক সম্পদ রয়েছে। জনমনে তার আয়ের উৎস নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার রহস্য জানতে চায় এলাকাবাসী। অনুসন্ধানে জানা গেছে, উক্ত রমজান আলী ও তার পুত্র গত ৫ বছর ইয়াবার কারবার করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। তার সাথে টেকনাফের মাদকের জোন খ্যাত রঙ্গিখালীর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত কয়েকজন শীর্ষ ইয়াবা কারবারির সাথে গড়ে তুলেছেন গোপন সম্পর্ক।
এক পর্যায়ে রমজান আলীর পুত্র রায়হান রঙ্গিখালীর কয়েকজন চিহ্নিত মাদকের গডফাদারের বোন বিয়ে করে। রঙ্গিখালী থেকে বস্তা বস্তা ইয়াবা এনে পাইকারী ভাবে বিক্রি ও সমানতালে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার করে। এ ভাবে পিতা পুত্র মিনাবাজারে মাদকের রাম রাজত্ব কায়েম করে। এলাকায় তার রয়েছে বিশাল সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেটে রয়েছে আবু ছিদ্দিক,নুর বশর,আক্তার,আব্দু শুক্কুর,মান্নান, ছালেহ,ফারুক,মামুন,হারুন সহ আরো অনেক। যাদের কে একদিকে পাচার কাজ অপর দিকে লাঠিয়াল বাহিনী হিসাবে ব্যবহার কওে রমজান আলী ওরফে শিয়াইল্যা।
গত মাস দুএক আগে হ্নীলা ওয়াব্রাং ব্রীজ সংলগ্ন প্রধান সড়কে আইন শৃংখলাবাহিনীর হাতে একটি সিএনজি ইয়াবা সহ এক যুবক কে আটক করে। ঘটনাস্থল থেকে রমজান আলীর পুত্র রায়হান কৌশলে পালিয়ে যায়। গত ১৮/০৫/২০১৭ রায়হানের পিতা রমজান আলী হোয়াইক্যং বিজিবি চেক পোষ্টে প্রায় দুই হাজার ইয়াবা সহ হাতে নাতে ধরা পড়ে। যার টেকনাফ মডেল থানার মামলা নং-৪৯। তারিখ-১৮.০৫.১৭। এ ছাড়া ও আরো বিভিন্ন থানায় মাদকের মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। উক্ত রমজান ও তার পুত্র দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকলে ও বর্তমানে এলাকায় আবারো রাম রাজত্ব শুরু করেছে। মিনাবাজারে তাদের সিন্ডিকেটে রয়েছে নাইন এম.এম. পিস্তল সহ ভারী অস্ত্রসশস্ত্র। যা দিয়ে এলাকায় প্রতিনিয়ত ত্রাস সৃষ্টি করছে। এলাকাবাসী জানায়, হঠাৎ করে বিপুল অর্থের মালিক ও অঢেল সম্পদ অর্জনকারীর আয়ের উৎস অনুসন্ধান খতিয়ে দেখা উচিত। টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ জানায়, নতুন করে তালিকা করা হচ্ছে এসব মাদক কারবারীদের। বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী এসব নব্য অর্থ বিত্তশালীদের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য সকল প্রশাসন একমত হয়েছে। তারা পার পাবার সুযোগ নেই।#
Leave a Reply