বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০৫ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
টেকনাফে অস্ত্র দিয়ে যুবককে ফাঁসানোর প্রতিবাদে রাস্তায় নামলেন ছাত্র-জনতা পুলিশে ৩৬০০ কনস্টেবল নিয়োগ, আবেদন ফি ৪০ টাকা শিক্ষা কমিশনে নাস্তিকদের সরিয়ে ইসলামি শিক্ষাবিদ ও আলেমদেরকে দিতে হবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৫৮১ জন শহীদ হয়েছে : স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ কমিটি মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন আরও ৮৫ বাংলাদেশি বিদ্রোহীদের দখলে মিয়ানমারের বড় এলাকা, ক্ষমতাচ্যুতের পথে জান্তা? টেকনাফ কে সন্ত্রাস মুক্ত শান্তির শহর বানাবো- শাহজাহান চৌধুরী কোস্ট ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত হোয়াইক্যং আলিয়া আছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নারী ফুটবল প্রীতি ম্যাচ সম্পন্ন সেনাবাহিনীর হাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব: ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা যা যা করতে পারবেন এখন স্বাধীন দেশে বসবাস করছি: আগে স্বাধীন ছিলাম না : পীর সাহেব চরমোনাই
ব্যতিক্রমধর্মী সৎ ও মানবিক এক পুলিশ অফিসারের নাম মোঃ হাসানুজ্জামান

ব্যতিক্রমধর্মী সৎ ও মানবিক এক পুলিশ অফিসারের নাম মোঃ হাসানুজ্জামান

ব্যতিক্রমধর্মী এক সৎ ও মানবিক পুলিশ অফিসারের নাম মোঃ হাসানুজ্জামান:
কক্সবাজারের পুলিশকে নিয়ে সৃস্টি করছেন ইতিহাসের নতুন অধ্যায়
মুহাম্মদ তাহের নঈম:
কক্সবাজারের জনপ্রিয় পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম (সেবা) (৭৬০৩০২৭৮৩৯)। একটি সাহসী ও মেহনতি সম্মুখযোদ্ধা সৈনিক ওকক্সবাজার জেলার সর্বজনের কাছে এক জননন্দিত নাম। যিনি কক্সবাজারের পুলিশকে নিয়ে সৃস্টি করছেন ইতিহাসের নতুন অধ্যায়। আশার প্রদীপ জ্বেলে দিয়েছেন জনতার মনে। ভালোবাসায় কেড়ে নিয়েছেন কক্সবাজারবাসীর মন। যার আন্তরিকতা, দক্ষ ও সাহসিকতায় উজ্জল হচ্ছে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি। যা অতিতে ছিল না। পুলিশ সুপার কক্সবাজার মো. হাসানুজ্জামান , আস্থা ও ভরসার এক বাতিঘর। আমজনতার মধ্যে এক সমীহের নাম যেন তিনি। কথায় কাজে অমিল খোঁজে পায়নি কেউ। কাজের বলিষ্টতায় মানুষের মধ্যে আজীবন স্মরনীয় হয়ে থাকবেন তিনি, তৃপ্তির গর্বিত আ্ওয়াজ তাকে নিয়ে অনেকের মাঝে। সেবার এক অনন্য অইকন হয়ে দাড়িয়েছেন তিনি। কক্সবাজার জেলা পুলিশের পরিবর্তনের যে হাওয়া, কাজের যে গতিশীলতা, সফলতা সবকিছুর পেছনে ক্রেডিট এই পুলিশ সুপারের।
পুলিশ নিয়ে অনেকের বিরূপ ধারণা থাকলেও কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান (পিপিএম) সে ধারণা সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছেন। তিনি একজন ব্যতিক্রমধর্মী পুলিশ অফিসার। কক্সবাজার পুলিশে যোগদানের পর থেকেই তিনি একে একে অপরাধ দমনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেই থাকেন।
তার সুনিপুণ দক্ষতার মাধ্যমে সুষ্ঠ তদন্তের ফলে দোষীরা খুব দ্রুতই আইনের আওতায় চলে আসে এবং তাদের শাস্তি হয়। তাঁর দায়িত্বরত এলাকার কক্সবাজার জেলার আপামর জনসাধারণ বলেন, তিনি একজন সৎ ও অন্যায়ের কাছে আপোষহীন পুলিশ অফিসার। তাঁর কাছে ধনী-গরিব, রিক্সাচালকসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষই সমান।
২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তিনি কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপারের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। দায়িত্বভার গ্রহণের পর অদ্যাবধী এই পদে সুনামের সাথে বহাল থেকে যথেষ্ট সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পুলিশ বিভাগ ও কক্সবাজারের জনগণের নিকট তিনি ঘনিষ্ট হয়ে যান তার কাজের মাধ্যমে। সহজ সরল নিরীহ জনগণের পুলিশি সেবা প্রাপ্তির সহজলভ্যতা এখন অত্র জেলার মানুষের মুখে মুখে। তাঁর অসাম্য কর্মপ্রচেষ্টায় দেশ ও জাতির কাছে এখন দৃশ্যমান। অন্যদিকে অপরাধীরা এই সৎ পুলিশ অফিসারের নাম শুনলেই ভয়ে আতকে উঠে। বিভাগীয় কার্যক্রমের বিত্তের বাইরেও রয়েছে তাঁর নানাবিধ সামাজিক কর্মদ্যোগ। স্বভাবজাত সৎ, ভালো চরিত্রগুণের অধিকারী মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম এর বণার্ঢ্য ও কর্মজীবন সুধীজনের দৃষ্টিগ্রাহ্য করার প্রয়াসেই দৈনিক কক্সবাজার ৭১ এর আজকের এই প্রতিবেদন।
এসপি মোঃ হাসানুজ্জামান আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন, শক্ত হাতে সন্ত্রাস দমনসহ নানা কর্ম দক্ষতামূলক কাজে প্রমাণিত হয়েছে তার দূরদর্শিতার। মাদক নির্মূলে ছিলো তার ব্যাপক সফলতা।
দেশের বৃহত্তম মাদক পাচার রুট বলে পরিচিত কক্সবাজার জেলা। বছর দু এক আগেও দেশের বৃহত্তম মাদকদ্রব্য পাচারের নিরাপদ রুট হিসেবে পরিচিত ছিল এ জেলার। পুলিশের নিয়মিত অভিযানে সে পরিচয় বদলে গেছে। কক্সবাজারের চিত্র এখন পুরোটাই ভিন্ন। মাদক ব্যবসায়ীদের অনেকেই এলাকা ছেড়েছে। কেউ মন দিয়েছেন কৃষি বা অন্য ব্যবসায়। পুলিশের অভিযানে অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে জনমনেও। মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ায় ইতোমধ্যে স্বীকৃতিও মিলেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশের।
তিনি কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানের পর চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় কাগজে কলমে সমাপ্তি হওয়া বিভিন্ন মামলার জট। তিনি টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে মামলাগুলোর বিশাল জট নিরসনে দ্রুত কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহন করেন। বিগত দুই বছরে অসংখ্য মামলার মুলতবি করতে সক্ষম হয়েছেন। ওয়ারেন্ট তামিলের ক্ষেত্রেও রয়েছে স্মরণকালের সেরা সফলতা। মাদকের বিরুদ্ধে ছিলো তার জিরু ট্রলারেন্স নীতি। এই নীতিকর্ম লালন করে মাদককারবারীদের আইনের আওতায় আনতে নিরলস প্রচেষ্টা ছিল তার।
জানা যায়,পর্যটন রাজধানী খ্যাত কক্সবাজার জেলা ভৌগোলিকভাবে অন্য জেলার চেয়ে ভিন্ন।
পাহাড়,সাগর,নদী,হোটেল মোটেল জোন,রোহিঙ্গা ক্যাম্প,প্রায় ২ শতাধিক এনজিও, মসজিদ,মাদরাসা,বৌদ্ধ মন্দির সহ সব মিলিয়ে ব্যস্ত একটি জেলার নাম কক্সবাজার। রেজিষ্টার্ড,আন রেজিষ্টার্ড মিলে প্রায় ১৫ লাখ রোহিঙ্গাদের বসবাস কক্সবাজার জেলায়। এতে আইন শৃংখলা বজায় রাখতে নিয়মিত হিমশিম খেতে হয় পুলিশের। সে তুলনায় পুলিশের লোকবলের ও স্বল্পতার অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
এ ছাড়া ভিআইপি,ভিভিআইপিদের প্রটোকল,টুরিষ্টদের নিরাপত্তা সহ নানা ঝামেলায় ব্যস্ত থাকতে হয় পুলিশের।
এত ব্যস্ততার মাঝে ও মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের নিয়মিত অভিযান রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।
কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ইং ২ লাখ ৭৪ হাজার ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারিকে আটক,কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের ব্রিজ সংলগ্ন খালের ঘাটে গত ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১ আরেক সফল অভিযান চালানো হয়। যা ছিল জেলার বৃহত্তর মাদকের চালান। এতে ১৪ লাখ ইয়াবাসহ দুইজনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় পাচারকাজে ব্যবহৃত মাছ ধরার একটি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে। কক্সবাজারে পুলিশের ইতিহাসে যেটি ছিল বিরল দৃষ্টান্ত।
কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম জানান,আমরা গর্বীত এমন একজন এসপি মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম স্যারের মতো মহত গুনের মানুষের পাশে থেকে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি বলে। ক্ষুদ্র জীবনে আমি অনেকের সাথে কাজ করার সৌভগ্য হয়েছে কিন্তু এসপি হাসানুজ্জামান পিপিএম স্যার উনার মানবিকতার ধারা অব্যাহত রেখে অভিজ্ঞতা ও আধুনিকতাকে কাজে লাগিয়ে যে ভাবে এগিয়ে নিচ্ছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশকে তা সত্যি দৃষ্টান্ত রাখার মতো।
জেলা আওয়ামীলীগের প্রথম সারির এক নেতা জানান, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান অসাম্য কর্মপ্রচেষ্টায় দেশ ও জাতির কাছে দৃশ্যমান। অন্যদিকে অপরাধীরা এই সৎ পুলিশ অফিসারের নাম শুনলেই ভয়ে আতকে উঠে।
সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের আবায়ক মাহমুদুল করিম মাদু জানায়, পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান কর্মদক্ষতা দিয়ে প্রমাণ করেছেন পুলিশ জনগণের প্রকৃত বন্ধু। যা আগে কখনো কেউ দেখেনি। পুরো জেলাবাসীকে নিরাপদ ও মাদবমুক্ত রাখতে তার অবদান অতুলনীয় ও প্রশংসনীয়।
এক নজরে পুলিশের মাদক,সন্ত্রাস,চোর,ডাকাত ও অস্ত্র উদ্ধার অভিআযানের সফলতার চিত্র:
সেপ্টেম্বর-২০২০খ্রিঃ হতে জুলাই-২০২২খ্রিঃ পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার অস্ত্র উদ্ধারের বিবরণী
মামলার সংখ্যা- ৩৭২,গ্রেফতার সংখ্যা- ৬৫৭,উদ্ধারকৃত অস্ত্রের পরিমান- রিভালবার-০১টি,বিদেশী পিস্তল-২৫টি,পিস্তল-১০টি,ওয়ানশুটারগান-১২৩টি,শুটারগান-১২টি,শর্টগান-০৩টি,শার্টারগান-০৪টি,কাটা বন্দুক-০১টি,থ্রি-কোয়ার্টারগান-১০টি,থ্রি-কোয়ার্টার,বন্দুক-০৩টি,এলজি-১১৯টি,বন্দুক-৪১টি,একনলা বন্দুক-১০৪টি,দুইনলা বন্দুক-০৪টি,পাইপগান-০৭টি,এসএমজি-০১টি,কাটা রাইফেল-০২টি,গুলি-১০৬২ রাউন্ড,কার্তুজ-৪৩৪ রাউন্ড,ম্যাগজিন-২৭টি
সেপ্টেম্বর-২০২০খ্রিঃ হতে জুলাই-২০২২খ্রি: পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার মাদকদ্রব্য উদ্ধারের বিবরণী:মামলার সংখ্যা-৫০৮৬, গ্রেফতার সংখ্যা-৬৭২৭
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের নাম ও মাদক দ্রব্যের পরিমান-ইয়াবা-৫,১৬,৬৬,০৯৯ পিস, অগ্নিদগ্ধ ইয়াবা-২,২০,০০০ পিস, গুড়া ইয়াবা-১ কেজি ৩৮৫ গ্রাম, ক্রিস্টাল মেথ-৭২ কেজি ৮২৭ গ্রাম, মিথাইল-০২ কেজি, সাদা মাদক-০১ কেজি ৪০ গ্রাম, হেরোইন-০৩ গ্রাম, দেশী মদ-৬০৬১ লিটার, মদ তৈরির ওয়াস-৪৬৭৫ লিটার, বিদেশী মদ-২৯৬৫ বোতল, বিয়ার-৯৭৬৪ ক্যান, ফেন্সিডিল-২২৩২ বোতল, জিনসেন-২০ বোতল, যৌন উত্তেজক সিরাপ-১২ বোতল, গাঁজা-৮০৬ কেজি ২২৭ গ্রাম , গাজা গাছ-৪৭টি। সেপ্টেম্বর-২০২০ হতে জুলাই-২০২২খ্রি. পর্যন্ত পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে : ১৬,৩৩৪ টি,পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন প্রদান : ৩৬,৬৮৩ টি, চাকুরীর ভেরিফিকেশন প্রদান : ৩,৩৩৫ টি,ওয়ারেন্ট মূলে আসামী গ্রেফতার এর সংখ্যা : ২২,৯৬২ জন,নিয়মিত মামলায় আসামী গ্রেফতার এর সংখ্যা : ১৩,৭৫৩ জন,মামলা তদন্ত নিষ্পত্তির সংখ্যা : ১০,৮৫১ টি, বিজ্ঞ আদালতে সাক্ষী হাজির এর সংখ্যা : ২৫,৫৫০ জন, ৯৯৯ নাম্বারে উপকারভোগীর সংখ্যা : ৫,৯৩৭ জন।
স্থানিয় স্বচেতন মহলের মতে, পুলিশের এই তৎপরতা অব্যাহত রাখলে,পাশাপাশি পুলিশ সততা ও নিষ্টার সাথে কাজ করলে কক্সবাজার জেলায় অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে। শান্তিতে ঘুমাতে পারবে জেলা বাসী।#

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design By Rana