শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৯ পূর্বাহ্ন

ভাসানচর পরিদর্শন করতে চায় পাঁচটি আন্তর্জাতিক সংস্থা

ভাসানচর পরিদর্শন করতে চায় পাঁচটি আন্তর্জাতিক সংস্থা

কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে তৈরি করা আবাসন ব্যবস্থা বসবাসের উপযোগী কি না তা দেখতে সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছে বিশ্বের আন্তর্জাতিক পাঁচটি মানবাধিকার সংস্থা।

বৃহস্পতিবার এক চিঠিতে এ অনুরোধ করে সংস্থাগুলো। অ্যামনেস্টি ইন্টান্যাশনাল, রিফিউজি ইন্টারন্যাশনাল, রবার্ট কেনেডি হিউম্যান রাইটস, ফরটিফাই রাইটস এবং আসিয়ান পার্লামেন্টারিয়ান ফর হিউম্যান রাইটসের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বরাবর চিঠি দেয় সংস্থাগুলো।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সংস্থাগুলোর দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, ভাসানচরে তৈরি করা আবাসন ব্যবস্থা আমরা সরাসরি দেখতে চাই। আমরা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাসানচর পরিদর্শনে সরকারের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।

এদিকে ভাসানচরে পরিদর্শনের বিষয়ে পাঁচটি সংস্থার চিঠির বিষয়ে এক বিবৃতিতে জানায় আসিয়ান পার্লামেন্ট ফর হিউম্যান রাইটস।

সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরি করা ভাসানচরের অবকাঠামো, সুযোগ-সুবিধা ও সার্বিক পরিস্থিতি সরেজমিন ঘুরে দেখতে চায় পাঁচটি মানবাধিকার সংস্থা। এজন্য সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে সরকারের কাছে ভাসানচর পরিদর্শনের বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।

করোনা মহামারির শুরুর দিকে সাগর থেকে উদ্ধার করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে পাঠানো হয়। তারা সেখানে ভালো আছে। তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে চলতি বর্ষা মৌসুম শেষে রোহিঙ্গাদের একটি অংশকে ভাসানচরে স্থানান্তরের কথা জানায় সরকার।

সেই লক্ষ্যে ভাসানচরে ‘গো অ্যান্ড সি’ প্রকল্পের অধীনে গত সেম্পেম্বর মাসের শুরুর দিকে ৪০ জন রোহিঙ্গা নেতাকে চার দিনের সফরে ভাসানচর দেখাতে নিয়ে যাওয়া হয়।

সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন জানান, আরও কিছু রোহিঙ্গা পরিবারকে ভাসানচর পরিদর্শনে নিয়ে যাওয়া হবে।

রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচরের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে সরকার। জোয়ার–জলোচ্ছ্বাস থেকে এই চরের ৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকা রক্ষা করতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধ তৈরি করেছে। এক লাখ রোহিঙ্গার জন্য সেখানে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার মিলিটারির নির্যাতনের শিকার হয়ে সাড়ে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। আগে থেকে অবস্থান করছে চার লাখের মতো। বর্তমানে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে।

এ সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমার চুক্তি করলেও মিয়ানমারের অনাগ্রহের কারণে এই চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি। পরপর দুবার প্রত্যাবাসনের খুব কাছাকাছি গিয়েও একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত পাঠানো যায়নি মিয়ানমারের কারণে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design By Rana