শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ০৬:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার দাবীতে কক্সবাজার শহরে ইসলামী আন্দোলনের স্বাগত মিছিল কক্সবাজারে হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক ৩৬০০পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার-১ ইসলামী আন্দোলনের টেকনাফ উপজেলার উত্তর শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত টেকনাফে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ৪র্থ ধাপে ভুমি ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তরের বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং হোয়াইক্যং পুলিশের অভিযানে মাদক মামলার ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী আটক কান্জরপাড়ায় জমির বিরোধ নিয়ে থানায় অভিযোগ দেয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত-১ হোয়াইক্যং কাটাখালীতে আলোর ছোঁয়া ফ্রেন্ডশিপ ক্লাবের উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি সম্পন্ন প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল স্থগিতঃ ১ মার্চ পুনরায় প্রকাশ করা হবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার ‘মাদকপ্রবণ অঞ্চল’ ঘোষণা করা হলে কী হতে পারে? পালংখালী ফারিয়ার পিকনিকে চট্টগ্রাম বিভাগ ফারিয়া সভাপতি আবু সুফিয়ান সংবর্ধিত

মাদক, অস্ত্র উদ্ধার ও মামলা তদন্ত নিষ্পত্তিকরণে রেকর্ড কক্সবাজার জেলা পুলিশের

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০২২, ৪.৪০ পিএম
  • ১৭৭ বার পঠিত

পরিবর্তিত নতুন সেটআপে জেলা পুলিশের নিয়মিত মামলায় ১৩ হাজার ৭৫৩ এবং ওয়ারেন্টমূলে ২২ হাজার ৯৬২ জন আসামি গ্রেফতার 

দেশের সবচেয়ে বড় ইয়াবার চালান উদ্ধারে রেকর্ড করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। এ ছাড়া মামলার তদন্ত নিষ্পত্তি, ওয়ারেন্টমূলে আসামি গ্রেফতার, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, ক্লু-লেস ঘটনার তথ্য উদ্ঘাটনে সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ।

২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি সদরে চৌফলদণ্ডি ব্রিজ এলাকা ও শহরের নুনিয়ারছড়ায় অভিযান চালিয়ে ১৭ লাখ ৭৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার এবং নগদ এক কোটি ৭১ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা জব্দ করে পুলিশ। এ সময় আটক হয় চারজন ইয়াবাকারবারি, যা দেশের ইতিহাসে এ যাবতকালের র্সববৃহৎ ইয়াবার চালান।

২০২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত জেলা পুলিশের বিভিন্ন অভিযানে ৮৪ লাখ ৫৫ হাজার ৭৬৮টি ইয়াবা উদ্ধার হয়। এ ছাড়া দুই লাখ ২০ হাজার অগ্নিদগ্ধ ইয়াবা, পাঁচ কেজি ১৬০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ, ১৩৭ বোতল বিদেশি মদ ও ১৯২৬ ক্যান বিয়ার উদ্ধার করে পুলিশ। এক হাজার ৫০৯টি মাদকের মামলায় দুই হাজার ১৩ আসামি গ্রেফতার হয়। আগ্নেয়াস্ত্র ১৪১টি, গুলি ৭৪৭ রাউন্ড, কার্তুজ ১০৬ রাউন্ড এবং ৮টি ম্যাগজিন উদ্ধার হয়। জেলার ৯ থানায় ১৮১টি অস্ত্র মামলায় ৩২৭ আসামি গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলা তদন্ত নিষ্পত্তি হয়েছে ১০ হাজার ৮৫১টি মামলা।

বিদেশগামীরা ও ‘পুলিশ ক্লিয়ারেন্স’ পেয়েছে সহজে। এ সময়ে ১৬ হাজার ৩৩৪টি ‘পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট’ ও তিন হাজার ৩৩৫ জনের চাকরির ভেরিফিকেশন দেওয়া হয়। ৩৬ হাজার ৬৮৩টি ‘পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন’ দেয় জেলা পুলিশের বিশেষ (ডিএসবি) শাখা।

জেলা পুলিশের নির্ভরযোগ্য সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে, পরিবর্তিত নতুন সেটআপে নিয়মিত মামলায় ১৩ হাজার ৭৫৩ এবং ওয়ারেন্টমূলে ২২ হাজার ৯৬২ জন আসামি গ্রেফতার হয়। ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে উপকৃত হয়েছে পাঁচ হাজার ৯৩৭ জন সাধারণ মানুষ। সাক্ষী হাজির না হওয়ার কারণে মামলা পড়ে থাকে বছরের পর বছর। আদালতে বাড়ে জটিলতা। বিভিন্ন মামলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার দক্ষতা ও কৌশলগত কারণে ২৫ হাজার ৫৫০ জন সাক্ষী আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য প্রদান করেছে। যে কারণে পুলিশের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেন সংশ্লিষ্ট বিচারক।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই সিনহা হত্যাকাণ্ডের পর এসপি থেকে শুরু করে জেলা পুলিশে কর্মরত সবাইকে একযোগে বদলি করা হয়। সেপ্টেম্বরের শেষে দায়িত্ব নেয় নতুন টিম। কঠিন পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলার নিয়ন্ত্রণে শক্তহাতে হাল ধরে তারা। এসপি মো. হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ প্রায় এক বছর ১১ মাস পার করেছে। অভ্যন্তরীণ ‘চেইন অব কমান্ড’ ধরে রেখে এগোচ্ছে জেলা পুলিশ। পুলিশের হারানো ইমেজ ও ফিরে এসেছে সাধারণ জনগণের মাঝে। সবার জন্য নতুন কর্মস্থল হলেও পুরো জেলাকে ‘চকআউট’ করে মাঠ গুছিয়েছেন কর্মকর্তারা। পুলিশ সুপার থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত সবার সক্রিয় কর্মতৎপরতায় জেলা পুলিশ আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। যে কারণে চিহ্নিত অপরাধীচক্র অনেকটা ‘কোমরভাঙা’ হয়ে গেছে। সন্ত্রাসী, কিশোর গ্যাং দমনে জেলা পুলিশের তৎপরতায় আশান্বিত পর্যটন নগরের বাসিন্দারা।

অনুসন্ধানের তথ্যমতে, কক্সবাজার জেলার প্রতিটি থানা এখন পুলিশিং সেবাবান্ধব ও দালালমুক্ত। যার কাজ সেই করছে। থানাকে ব্যবহার করে দীর্ঘদিনের অনৈতিক সুবিধাভোগীরা পাত্তা পাচ্ছেন না। পুলিশের জ্ঞাতসারে মিথ্যা মামলার শিকার হয়নি কেউ।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে আমরা দায়িত্বভার গ্রহণ করি। জনবান্ধব পুলিশি কার্যক্রম নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ছিল। সেটি মাথায় রেখে আমরা কাজ শুরু করি। জেলার ৯টি থানায় কর্মরত ওসিসহ সংশ্লিষ্ট সবাই আন্তরিকতা সহকারে দায়িত্ব পালন করছে। যে কারণে পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা বেড়েছে।

ভুক্তভোগীদের জন্য থানার দরজা ২৪ ঘণ্টা উন্মুক্ত মন্তব্য করে এসপি বলেন, ভুক্তভোগীরা যার কাজ সে করছে। দালাল-প্রতারক, টাউট-বাটপার শ্রেণির লোকজন থানার আশপাশেও ঘেঁষতে পারে না। মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক লোক, নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। পুলিশের সেবা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও জনবান্ধব করতে ‘বিট পুলিশিং’ কার্যক্রমকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে কারণে ভুক্তভোগীরা উপকৃত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, জেলার ৯টি থানাতেই পুলিশের জনবান্ধব সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। ভুক্তভোগী নিজেই থানায় গিয়ে সেবা পাচ্ছে। যুক্তিসঙ্গত সব আবেদন গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হয়।

এসপি মো. হাসানুজ্জামান বলেন, মাঝেমধ্যে কিছু অপরাধীচক্র ও তাদের দোসররা পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ছড়ায়। মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালায়। তারা কারা, চিহ্নিত একটি চক্র।

তিনি বলেন, অপরাধী ও মাদক চক্রর বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে আমরা বদ্ধপরিকর। জেলা পুলিশ সে ভাবে কাজ করছে।#

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

banglawebs999991
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Bangla Webs