শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন
ক্রমেই বাড়ছে মহামারী করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু। কিন্তু বার বার মসজিদ-মন্দিরসহ ধর্মীয় উপাসনালয়ে মাস্ক পরে প্রবেশের নির্দেশনা দেয়া হলেও সম্প্রতি এতে শৈথিল্য দেখা দিয়েছে। তাই আবারো মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ বিভিন্ন উপাসনালয়ে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার নির্দেশনা জারি করেছে সরকার।
রবিবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বলা হয়েছে, মসজিদে সব মুসল্লির মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে। প্রতি ওয়াক্ত নামাজের আগে অবশ্যই এ বিষয়ে মসজিদের মাইকে প্রচার চালাতে হবে। এ বিষয়ে মসজিদের গেটে ব্যানার প্রদর্শন করতে হবে। বিষয়গুলো মসজিদ কমিটি নিশ্চিত করবে।
এতে বলা হয়, সংশ্লিষ্টদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধে অন্যান্য পদক্ষেপের পাশাপাশি ধর্মীয় উপাসনালয়ে মাস্ক পরিধানের বাধ্যবাধকতা আরোপ করে মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন সময়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ইদানিং গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে সারাদেশে বিশেষ করে মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ব্যবহারে শৈথিল্য দেখা যাচ্ছে। সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউয়ে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিতে সরকারের নির্দেশনা রয়েছে। এ অবস্থায় আগের বিজ্ঞপ্তির ধারাবাহিকতায় নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ অন্যান্য ধর্মের অনুসারীরা অবশ্যই মাস্ক পরে উপাসনালয়ে প্রবেশ করবেন। প্রধান ফটকে ব্যানার প্রদর্শনের মাধ্যমে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উপাসনালয় কমিটি নিশ্চিত করবে।
এতে আরও বলা হয়, ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ বিষয়ে সর্বসাধারণকে সচেতনের জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। স্লোগানটি সব উন্মুক্ত স্থানে এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পোস্টার/ডিজিটাল প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রাখতে হবে।
কিছুক্ষণ পরপর সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্য বিভাগের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। দেশের সব মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে মাইক থেকে নিয়মিতভাবে উপরে বর্ণিত ঘোষণাসমূহ আবশ্যিকভাবে প্রচার অব্যাহত রাখার জন্য স্থানীয় প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদ ও উপাসনালয়ের পরিচালনা কমিটিকে অনুরোধ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
Leave a Reply