বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন
কে সেই বাবুল মোস্তাফিজ,কি তাদের পরিচয়?
মিয়ানমারের গ্যংস্টারের বাংলাদেশি সহযোগি হোয়াইক্যং এর দালালরা অধরায়!
নিজস্ব প্রতিবেদক ::
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের লম্বাবিলে রয়েছে মিয়ানমারের বড় গ্যাং স্টার নামক একটি বাহিনীর শক্তিশালী সিন্ডিকেট। যারা দীর্ঘদিন ধরে উক্ত বাহিনীর রসদপাতির নিয়মিত যোগান দিয়ে আসছে। সেই বাহিনীর মিত্র হয়ে কাজ করছে লম্বাবিলের নাজির হোছনের পুত্র মোস্তাফিজ ও একই এলাকার নাগুমাঝির পুত্র বাবুল। তারা মিয়ানমারের (বার্মা) একটি বড় গ্যাং স্টারের হয়ে সীমান্ত এলাকায় প্রভাব বিস্তারের পাশাপাশি মিয়ানমারে পন্যপাচার ও বিনিময়ে ইয়াবা আইস আনতে গড়ে তুলেছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
জানা যায়,২০২১ সালের শেষের দিকে ২২ও ২৩ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কতিপয় রোহিঙ্গা বাংলাদেশ মুখি মাদকের বড় বড় চালানে ভাগ বসাতে মিয়ানমার সীমান্তের উপকূলীয় এলাকায় আস্তানা গাড়ে। সময়ে রোহিঙ্গাদের গ্রামে,সময়ে নাফনদীর বিভিন্ন দ্বীপ বা দিয়া সমুহে তারা গোপনে বাসা বেঁধে মাসকে মাস স্বশস্ত্র অবস্থান করে। মিয়ানমার বিজিপির অবস্থান বুজে নাফনদীতে টহলে ও নামে প্রতিনিয়ত। এভাবে উক্ত গ্যাং নাফনদী ও মিয়ানমারের উপকূলীয় অঞ্চলে অঘোষিত রামরাজত্ব কায়েম করে।
তাদের মূল কাজ হচ্ছে(ক) ইয়াবার চালান তাদের নিজস্ব নেটওয়ার্কের আওতায় আনা।(খ)বিভিন্ন পেশার মানুষ কে অপহরণ করে মোটাদাগের মুক্তিপণ আদায় করা। উক্ত গ্যং এর যোগাযোগ ব্যবস্থা,জালানি তেল, ভোজ্য তেল,চাল,ডাল,কাপড়,পোশাক,টাকার লেনদেন,বিকাশ সব কিছু বাংলাদেশ নির্ভর। টেকনাফ উপজেলার হোয়াইকং ইউনিয়নের লম্বাবিল চিত্তবাবুর কাচারী,তেচ্ছিব্রীজ,গ্যাসপাম্প সংলগ্ন এলাকার বেশ কয়েকজনের সমন্বয়ে চোরাচালানীদের মজবুত নেটওয়ার্ক গড়ে তুলে।
তারা মিয়ানমারের ডাবফাঁড়ি,কুমিরখালী,শিলখালী,ঢেঁকি বনিয়ার সীমান্ত এলাকাস্থ তাদের ঠিকানায় বাংলাদেশের নানান পন্য পৌঁছে দেয়। বিনিময়ে ইয়াবা ও আইস আনে। যা চিহ্নিত কারবারিদের কাছে কৌশলে বিক্রি করে। আবার তাদের মুক্তিপণের টাকাও জমা রাখে। এভাবে উক্ত গ্যং স্টারের বিশ্বস্থ সহযোগী মোস্তাফিজ ও বাবুল অল্প সময়ে বিশাল বিত্তবৈভবের মালিক বনেছে। তম্মধ্য বাবুল চট্টগ্রামের জিরির শান্তিরহাটে বিপুল অর্থ ব্যায়ে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ সহ বিপুলসংখ্যক ব্যাংক ব্যালেন্স রয়েছে। আর মোস্তাফিজের রয়েছে গাড়ি বাড়ি সহ জায়গা সম্পদ। তাদের আবার শক্ত সহযোগী রয়েছে ১০-১২ জন। তম্মধ্যে নুর হোছন পিতা: আব্দু জলিল,আব্দুররহমান মুনিয়া,পিতা: ছৈয়দ,হামিদ হোছন পিতা: ভুলু,নুরু পিতা: আব্দুশুক্কুর পাচার কাজ ও মালামাল আনা নেয়া করে। বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে যাওয়া পন্য গ্যং স্টারের সেকেন্ডইনকমান্ড ইকবাল রিসিভ করে।
বার্মা থেকে রাতের আঁধারে রোহিঙ্গা এনে মোস্তাফিজ-বাবুলের সহযোগীদের বাড়িতে বাড়িতে জামই আদরে রাখে। উক্ত রোহিঙ্গাদের নামি-দামি গাড়িতে করে রাজধানী ঢাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় আমোদ ফুর্তি করে। মিয়ানমারের স্থায়ী বসবাসরত কতিপয় রোহিঙ্গা বিজিপির সোর্স ও তাদের মাধ্যমে এসে বাংলাদেশের গোপন তথ্য নিয়ে যায় মিয়ানমারে।
এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য নিতে একাধিকবার ফোন দিলে ও ফোন রিসিভ করেনি।
আইনশৃংখলা বাহিনীর জেলা পর্যায়ের এক কর্মকর্তা প্রতিবেদক কে জানান,মিয়ার গ্যং স্টারে মাস্টারমাইন্ড আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জালে আটকা আছে। জড়িত তার সহযোগিরা ও একের পর আইনের আওতায় আসবে।
Leave a Reply