শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
ভারত ছাড়ছেন শেখ হাসিনা, যাচ্ছেন কোন দেশে? শাহজাহান চৌধুরী নেতৃত্বের গুণধর একজন ব্যতিক্রমধর্মী সফল রাজনীতিক যুক্তরাষ্ট্রে দুই লাখ ডলারে লবিস্ট নিয়োগ করেছেন জয় বাংলাদেশ পুলিশে এসআই পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আবেদন ফি ৪০ টাকা হাসিনা সরকারের ভিআইপি কারাবন্দীদের সাথে কোনো নিকটাত্মীয়ই দেখা করছেন না তারেক রহমান যে কোনো সময় দেশে ফিরছেন টেকনাফে অস্ত্র দিয়ে যুবককে ফাঁসানোর প্রতিবাদে রাস্তায় নামলেন ছাত্র-জনতা পুলিশে ৩৬০০ কনস্টেবল নিয়োগ, আবেদন ফি ৪০ টাকা শিক্ষা কমিশনে নাস্তিকদের সরিয়ে ইসলামি শিক্ষাবিদ ও আলেমদেরকে দিতে হবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৫৮১ জন শহীদ হয়েছে : স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ কমিটি
মিয়ানমার সেনা অভ্যুত্থান: ঠিক এই সময়ে কেন ঘটলো?

মিয়ানমার সেনা অভ্যুত্থান: ঠিক এই সময়ে কেন ঘটলো?

ঠিক এ সময়টাতেই কেন এ ঘটনা ঘটলো? এর পরই বা কী ঘটবে? মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর অভ্যুত্থান ও ক্ষমতা দখলের পর বিশ্লেষকরা এসব প্রশ্নেরই জবাব খুঁজেছেন।

সোমবারই অং সান সুচির রাজনৈতিক দল এনএলডির নির্বাচনী বিজয়ের পর ক্ষমতায় তাদের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু করার কথা ছিল।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী যদিও গত ১০ বছর ধরেই বেসামরিক সরকারের হাতে ক্রমে ক্রমে ক্ষমতা ছেড়ে দিচ্ছিল – কিন্তু পর্দার আড়ালে তারা দেশটির ওপর কড়া নিয়ন্ত্রণ ঠিকই বজায় রেখেছিল। দেশটির সংবিধানেও এর নিশ্চয়তা বিধান করা হয়েছে।

পার্লামেন্টের এক-চতুর্থাংশ আসন এবং সবচেয়ে ক্ষমতাধর মন্ত্রণালয়গুলো এখনো সামরিক বাহিনীর হাতে।

ঠিক এখনই অভ্যুত্থান হলো কেন?

এর ব্যাখ্যা দেয়া কঠিন নয়। বিবিসির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সংবাদদাতা জোনাথন হেড বলছেন, সোমবারই নির্বাচনের পর পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন বসার কথা ছিল এবং তাতে নির্বাচনের ফল পূর্ণতা পেতো – যা এখন আর হবে না।

নভেম্বরের ওই নির্বাচনে এনএলডি ৮০ শতাংশেরও বেশি ভোট পায়। রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর গণহত্যার অভিযোগ সত্বেও এ দলটি এখনও মিয়ানমারে বিপুলভাবে জনপ্রিয়।

কিন্তু ভোটের পর পরই জালিয়াতির অভিযোগ তোলে সামরিক বাহিনী। এক বছরের জরুরি অবস্থা জারিকে যৌক্তিকতা দেবার জন্য নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরিত বিবৃতিতেও এ অভিযোগটি পুনর্ব্যক্ত হয়েছে।

এতে বলা হয়, “৮ই নভেম্বরের নির্বাচনে ভোটার তালিকায় যে গুরুতর অনিয়ম ছিল – তার সমাধান করতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ হয়েছে।

যদিও এ অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ দেয়া হয়েছে সামান্যই।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের উপপরিচালক ফিল রবার্টসন বলছিলেন,” অং সান সুচি স্পষ্টতই নির্বাচনে বিপুল বিজয় পেয়েছেন। নির্বাচনী জালিয়াতির অভিযোগগুলো অনেকটা ট্রাম্পসুলভ – এসব অভিযোগের সপক্ষে কোন প্রমাণ ছিল না।

মি. রবার্টসন বলছেন, এই ক্ষমতা দখলের ব্যাখ্যা দেয়া কঠিন।

সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা হারানোর ভয়

নভেম্বরের নির্বাচনে সামরিক বাহিনী-সমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ভোটের খুব সামান্য অংশই পেয়েছে।

কিন্তু তার পরও সামরিক বাহিনী এখনো মিয়ানমারে সরকারের ওপর ব্যাপক প্রভাব রাখতে সক্ষম। সূত্র- বিবিসি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design By Rana